বিদ‍্যাধরী নদী পাড়ে সরকারি জায়গা দখল করে গড়ে উঠছে অবৈধ নির্মাণ! অভিযোগের তীর বিধায়িকা ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে (West Bengal News)। অভিযোগ, সুন্দরবনে বিদ্যাধরী নদীর পাড়ে সরকারি জায়গা দখল করে গড়ে উঠছে অবৈধ নির্মাণ‌। আর সেই নির্মাণের জেরে নদীতে যাতা

সুন্দরবন: বিদ‍্যাধরী নদী পাড়ে সরকারি জায়গা দখল করে গড়ে উঠছে অবৈধ নির্মাণ! অভিযোগের তীর বিধায়িকা ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে (West Bengal News)। অভিযোগ, সুন্দরবনে বিদ্যাধরী নদীর পাড়ে সরকারি জায়গা দখল করে গড়ে উঠছে অবৈধ নির্মাণ‌। আর সেই নির্মাণের জেরে নদীতে যাতায়াতের ক্ষেত্রে বেজায় সমস্যার মধ্যে পড়ছেন এলাকাবাসীরা। সরকারি আধিকারিককে অভিযোগ দায়ের স্থানীয়ের। তদন্তের আশ্বাস আধিকারিকের। অভিযোগের তীর মিনাখাঁর বিধায়িকা ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। বসিরহাটের সুন্দরবনের মিনাখাঁ বিধানসভার সোনাপুকুর-শংকরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পুরাতন ফেরীঘাট সংলগ্ন বাজার সংলগ্ন বিদ্যাধরী নদীর পাড়ের ঘটনা।

স্থানীয় এক বাসিন্দা কারিবুল মোল্লা অভিযোগ করে বলেন, "বিদ‍্যাধরী নদীর পাড়ে সরকারি জায়গা দখল করে অবৈধ নির্মাণ করছেন মিনাখাঁর বিধায়িকা ঊষা রাণী মন্ডল ও তার স্বামী মিনাখাঁ বিধানসভার তৃণমূলের চেয়ারম্যান মৃত্যুঞ্জয় মন্ডল ঘনিষ্ঠ তথা সোনাপুকুর-শংকরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য নজরুল ইসলামের ভাই রবিউল ইসলাম। আমরা চাইছি দ্রুত এই কাজ বন্ধ হোক। তাহলে আমাদের নদীতে যাতায়াত করতে অনেক সুবিধা হবে।"

অপর এক গ্রামবাসী বাবলু মোল্লা বলেন, "একপ্রকার গায়ের জোরে এই অবৈধ নির্মাণ করা হচ্ছে নদীর পাড়ে। আমরা চাইছি প্রশাসন এই বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করুক। বাজারের সব্জির অনেক বর্জ্য এই এলাকায় ফেলা হতো। কিন্তু সেই সরকারি জায়গা দখল করায় সব্জি ব্যবসায়ীরা বেজায় সমস্যার মধ্যে পড়েছেন।" বিষয়টি নিয়ে সোনাপুকুর-শংকরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের এক বাসিন্দা আব্দুল্লা মোল্লা হাড়োয়া ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেন। এবং সেখানে অনুরোধ করেন সরকারি জমি অবৈধভাবে দখল হয়ে যাচ্ছে। প্রশাসন অবিলম্বে নদীর পাড়ের ওই এলাকা দখলমুক্ত করুক।

এদিকে যার বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই রবিউল ইসলাম বলেন, "ওটা আমাদের রায়ত সম্পত্তি। দীর্ঘদিন ধরে আমরা সেখানে ব্যবসা করেছি। বর্তমান সরকারের পাশাপাশি আগের সরকারও আমাদেরকে ওই জমি দিয়েছিল। প্রয়োজনে আমি সমস্ত নথিপত্র নিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে গিয়ে যোগাযোগ করবো।" অন্যদিকে এই বিষয়ে, হাড়োয়া ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের আধিকারিক অমিতাভ ঘোষ বলেন, "একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবো।"

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।