সংক্ষিপ্ত
১৬ বছর আগের নন্দীগ্রাম দিবসের তরজা তৃণমূল আর বিজেপির। নন্দীগ্রামে একই ব্যনারের নিচে অনুষ্ঠানে হাজির কুণাল ঘোষ আর শুভেন্দু অধিকারী।
৩৪ বছরের বাম জমানার অবসান ঘটিয়ে মহারকরণে তৃণমূল কংগ্রেসকে পৌঁছে দেওয়ার পথ তৈরি করে দিয়েছিল নন্দীগ্রাম আন্দোলন। সালটা ২০০৭, ৭ জানুয়ারি তৎকালীন বাম সরকারের প্রস্তাবিত কেমিক্যাল হাবের বিরোধীতায় আন্দোলনে নেমেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। জমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির ব্যানারে হয়েছিল গোটা আন্দোলন। সেইসময় তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পরই ৭ জানুয়ারি দিনটিকে সেই শহিদদের স্মরণে পালন করে। দিনটিকে নন্দীগ্রাম দিবস হিসেবে পালন করা হয়। এদিন নন্দীগ্রাম দিবসে অবশ্য অন্য ছবি দেখা গেল। এদিন সিপিএম - তৃণমূল কংগ্রেস নয়, বরং তৃণমূলের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়ে বিজেপি।
এদিন নন্দীগ্রামে নন্দীগ্রাম দিবস উপলক্ষ্যে তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি দুই যুযুধান দলই সভা করে। দুটি দলের সভাই হয় ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির ব্যানারে। আর সেখান থেকেই দুই দলের নেতৃত্ব একে অপরকে নিশানা করে। একদিকে নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা শুভেন্দু অধিকারী যেমন উপস্থিত থিলেন, তেমনই উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তবে একসঙ্গে নয়। ঘণ্টা দুইয়েকের ব্যবধানে।
এদিন নন্দীগ্রামে প্রথম সভা করেন কুণাল ঘোষ। তিনি নন্দীগ্রামের শহিদবেদীমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তারপরই তিনি নিশানা করেন প্রাক্তন তৃণমূল নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। তিনি বলেন, 'সেদিন সিপিআইএম-এর হার্মাদরা এখানে যে রাজনীতি করেছিল আজ তাই ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। সেদিন সিপিএম যেমন আন্দোলনকারীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসাত আজ তেমনই একজন কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে নিয়ে আপনাদের ফাঁসাচ্ছে। ' এদিন নন্দীগ্রামে গিয়ে কুণাল ঘোষ অভিযোগ করেন, সেদিন গণহত্যার পিছনে যারা ছিল আজ তারাই বিজেপি হয়ে শুভেন্দুর হাত শক্ত করছে। যা নন্দীগ্রামের মানুষের জন্য শুভ নয়। তিনি আরও বলেন নন্দীগ্রামের মানুষ শুভেন্দুকে কখনই ক্ষমা করবে না।
অন্যদিকে ১৬ বছর আগে এই দিনে জমি বাঁচাও আন্দোলনে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সেই ভাঙাবেড়ায় এদিন উপস্থিত ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি এক দিনে কুণাল ঘোষের তীব্র সমালোচনা করেন। অন্যদিকে সিপিএম তথা বামেদের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, 'যাদের দেখছেন তারা হালফিলের নেতা, তাদের সঙ্গে আন্দোলনের কোনও যোগ নেই। ওরা যে বেদির ওপর পতাকা টাঙিয়েছে সেটাও আমার বানানো। সরকারি জমির ওপর বেদি কিন্তু সরকারি টাকায় তৈরি হয়নি। ইট-সিমেন্ট-বালি - সব আমার দেওয়া।' শুভেন্দু আরও বলেন, বামেরা সকলেই খারাপ নয়, বামপন্থী হিন্দু ভোটে তিনি জয়ী হয়েছেন বলেও জানিয়ে দেন। পাশাপাশি বলেন, 'নন্দীগ্রাম যদি না থাকত তাহলে তিনি দিদি থেকে দিদিমা হয়ে যেতেন।'
তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপির এই তরজায় ১৬ বছর আগের সেই উত্তাল দিনটি যেন এদিন অধরা থেকে গেল।
আরও পড়ুনঃ
Joshimath Sinking: প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিপর্যস্ত বদ্রীনাথের প্রবেশদ্বার যোশীমঠ, দেখুন ভয়ঙ্কর ছবিগুলি
যোশীমঠরে ধর্মীয় মাহাত্ম অনেক, জানুন ভূমিধস নিয়ে এই ধর্মস্থানে রয়েছে প্রাচীন বিশ্বাস