সংক্ষিপ্ত
কোনও প্রশাসনিক সভায় নয়। নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সঙ্গে একান্তে বৈঠক করবেন বীরভূমের এককালের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। এখনও পর্যন্ত সেই খবরই পাওয়া যাচ্ছে।
কোনও প্রশাসনিক সভায় নয়। নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সঙ্গে একান্তে বৈঠক করবেন বীরভূমের এককালের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। এখনও পর্যন্ত সেই খবরই পাওয়া যাচ্ছে।
ঘনিষ্ঠ সূত্রে এমন খবরই উঠে আসছে। জানা গেছে, মঙ্গলবার প্রশাসনিক বৈঠকের পর সরকারি গেস্ট হাউস ‘রাঙাবিতান’-এ অনুব্রত মণ্ডল যাবেন তৃণমূল সুপ্রিমোর সঙ্গে দেখা করতে। তাদের মধ্যে একান্তে আলাপ-আলোচনা হবে বলে জানা যাচ্ছে।
জেলা সভাপতি হিসেবে এবার থেকে সংগঠনের কাজকর্ম কীভাবে চালাবেন, সেইসব নিয়েই দুজনের মধ্যে কথা হতে পারে বলে সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে। কার্যত, সিপিএম জমানা থেকে লড়াই করে বীরভূমের লালমাটিতে ঘাসফুলের দাপট প্রতিষ্ঠা করা অনুব্রত গোড়া থেকেই মমতার অত্যন্ত স্নেহভাজন এবং ঘনিষ্ঠ।
গত ২০২২ সালে যখন গরু পাচার মামলায় অনুব্রতকে গ্রেফতার করে সিবিআই (CBI), তখন থেকেই তৃণমূল নেত্রী একটাই প্রতিক্রিয়া দিয়ে এসেছেন, “ষড়যন্ত্র হয়েছে। একদিন ছাড়া পেয়ে যাবে।” সেই কারণেই সম্ভবত তিনি বীরভূমের জেলা সভাপতি পদটি ফাঁকা রেখে দিয়েছিলেন। সাংগঠনিক কাজ চালানোর জন্য গড়ে দিয়েছিলেন কোর কমিটি।
আর এবার ২ বছর পর, জামিনে মুক্তি পেয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। জেল থেকে তাঁর মুখে সেই ‘দিদি’র কথাই।
এবার মুখ্যমন্ত্রী নিজেই রয়েছেন বোলপুরে। ফলে, দুজনের সাক্ষাৎ প্রায় নিশ্চিতই ছিল। প্রথমে মনে করা হচ্ছিল যে, বোলপুরের প্রশাসনিক বৈঠকেই থাকবেন অনুব্রত। তবে বেলা গড়াতেই জানা গেল, কোনও প্রশাসনিক বৈঠকে নয়, তাঁর প্রিয় ‘দিদি’-র সঙ্গে একাই দেখা করতে চান কেষ্ট। আর মমতা তাঁকে সেই সময়ও দিয়েছেন।
এদিন প্রশাসনিক বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রী ফিরবেন বোলপুরের সরকারি গেস্ট হাউস ‘রাঙাবিতান’-এ। সেখানেই অনুব্রতর সঙ্গে তাঁর একান্তে কথা হবে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।