সংক্ষিপ্ত
উৎসবের মরসুমেও রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে একের পর এক ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটে চলেছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ে তেমনই এক ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি শুভেন্দু অধিকারীর।
রাজ্যের সর্বত্র যে কোনও পুজোর আগেই রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে চাঁদা আদায়ের ঘটনা দেখা যায়। কিন্তু এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ে মারাত্মক ঘটনা ঘটে গেল। জোর করে চাঁদা আদায়ের অভিযোগে আটক হন এক তৃণমূল কংগ্রেস নেতা। দলবল নিয়ে থানায় গিয়ে পুলিশকে মারধর করে দলীয় নেতাকে লকআপ থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠল অপর এক তৃণমূল কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলে এই অভিযোগ করেছেন। তিনি শাসক দলকে আক্রমণ করেছেন। রাজ্য পুলিশ যাতে এই ঘটনার তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়, সেই দাবিও করেছেন শুভেন্দু।
কী অভিযোগ বিরোধী দলনেতার?
'এক্স' হ্যান্ডলে শুভেন্দু লিখেছেন, 'অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে, তৃণমূল কংগ্রেসের ক্যানিং-১ ব্লকের যুব সভাপতি অরিত্র বসু ক্যানিং থানার মধ্যে ঢুকে পুলিশকে মারধর করেন এবং লকআপ থেকে তৃণমূলের যুব নেতা জয়ন্ত ঘড়াইকে জোর করে ছাড়িয়ে নিয়ে যান। এই দু'জনই ক্যানিং পশ্চিমের তৃণমূল বিধায়ক পরেশ দাসের ঘনিষ্ঠ। খবর পাওয়া যাচ্ছে যে কালীপুজোর চাঁদা আদায়ের নামে গাড়ি থামিয়ে তোলা নিচ্ছিল জয়ন্ত। ক্যানিং থানার পুলিশকর্মীরা যখন খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছে বাধা দেন, তখন ধস্তাধস্তি শুরু হয়। জয়ন্তকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। আধঘণ্টা পর পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ অরিত্র বসু দলবল নিয়ে থানায় পৌঁছন। তিনি জয়ন্তকে আটক করা এসআই-কে মারধর করেন। এরপর জোর করে লকআপ খুলে জয়ন্তকে ছাড়িয়ে নিয়ে যান অরিত্র।'
পুলিশের বিরুদ্ধেও সরব শুভেন্দু
বিরোধী দলনেতার আরও অভিযোগ, ‘এই ঘটনার পর থেকেই ক্যানিং থানার আইসি সৌগত ঘোষ এবং ক্যানিংয়ের এসডিপিও রামকুমার মণ্ডল সবকিছু ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের ডিজি-র কাছে আমার অনুরোধ, উপযুক্ত তদন্ত করুন এবং সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করুন। এই ঘটনা সত্যি হলে যে অপরাধীরা থানায় ঢুকে পুলিশকর্মীদের মারধর করার ঔদ্ধত্য দেখিয়েছে, তাদের আইন অনুযায়ী শাস্তি দেওয়া উচিত।’
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
বেলুড়ে বাজি ফাটানোর প্রতিবাদে বেধড়ক মার পুলিশকে, গুরুতর জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ২
হাসপাতালের মধ্যেই পুলিশকে ধরে মারধর, গ্রেফতার দম্পতি