সংক্ষিপ্ত
তৃণমূলের প্রধান প্রতিপক্ষ বিজেপি। ইতিমধ্যেই নানা অস্ত্রে শান দিচ্ছে বিজেপি। তার প্রতিরোধ কীভাবে, সেই সাংগঠনিক বার্তা বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোর থেকে দেবেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিরোধীদের লাগাতার কুৎসা থেকে কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে কোণঠাসা করার চেষ্টা- তারপরেও বাংলার মানুষ আস্থা রেখেছেন তৃণমূলের উপর। তেমনই বলছে একের পর এক নির্বাচনের ফলাফল। সম্প্রতি উপনির্বাচনের ফলাফলে রাজ্যে ছিল সবুজ ঝড়। বিরোধীরা নিশ্চিহ্ন। কিন্তু আত্মতুষ্টিতে ভুগতে রাজি নয় বাংলার শাসকদল। এই অবস্থায় আজ, বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোরে (Netaji Indoor) তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) বৈঠক। উপস্থিত থাকবেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। আগামী ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনের (Assembly Election) আগে এই বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) কী বার্তা দেন , তারই দিকে তাকিয়ে রয়েছে দল ও রাজ্যের মানুষ।
অন্যদিকে তৃণমূলের প্রধান প্রতিপক্ষ বিজেপি। ইতিমধ্যেই নানা অস্ত্রে শান দিচ্ছে বিজেপি। তার প্রতিরোধ কীভাবে, সেই সাংগঠনিক বার্তা বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোর থেকে দেবেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সকাল থেকে সেই বিশেষ সাংগঠনিক বৈঠকের প্রস্তুতি তুঙ্গে। কেন্দ্রীয় বঞ্চনা থেকে রাজ্যের প্রশাসনের দিক থেকে তুলে দেওয়া পরিষেবা মানুষের কাছে ঠিক মতো পৌঁছে দেওয়া নিয়ে জোর দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই। তা নিয়ে জনসংযোগ বাড়িয়ে আরও কীভাবে রাজ্যের সব মানুষকে তাঁদের ন্যায্য প্রাপ্যের কাছে নিয়ে আসা যায়, তা নিয়ে আবারও নেত্রীর বার্তা শুনবেন জেলা থেকে শহরের নেতৃত্ব।বুধবার থেকেই দূর দূরান্তের জেলার নেতারা উপস্থিত হয়েছেন নেতাজি ইন্ডোরে। যাঁরা আসতে পারেননি, তাঁদের জন্য গোটা বৈঠক অনলাইনে পরিবেশন হবে। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা যাতে তৃণমূলস্তর পর্যন্ত পৌঁছে যায়, তারই প্রস্তুতি রাজ্য জুড়ে।
তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রের খবর, এদিন দলীয় বৈঠক তৃণমূল কংগ্রেসের সাংগঠনিক রদবদলেও শিলমহর দিতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। কারণ দীর্ঘ দিন ধরেই দলের দ্বিতীয় নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় রদবদলের দাবি তুলে আসছেন। তিনি ইতিমধ্যেই একটি খসড়া মমতাকে জমাও দিয়েছেন বলে একাধিকবার প্রকাশ্যে জানিয়েছেন। এর আগে ণমতা একাধিকবার বৈঠক করলেও রদবদল নিয়ে কিছু বলেননি। কিন্তু এবার ভোটের আগে তৃণমূলের বড় রদবদল হতে পারে বলেও আশঙ্কা রয়েছে দলের নেতা কর্মীদের মধ্যে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।