সংক্ষিপ্ত

রচনা বন্দ্যোপাধ্য়ায় প্রথমে বিয়ে করেছিলেন ওড়িয়া সিনেমার অভিনেতা সিদ্ধান্ত মহাপাত্রের সঙ্গে। দুজনেই ওড়িয়া সিনেমার জনপ্রিয় জুটি ছিলেন। কিন্তু তাঁদের সম্পর্ক বেশিদিন দীর্ঘস্থায়ী হয়নি।

 

রচনা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের জীবনে বর্তমানে বৃহস্পতি তুঙ্গে বলা যেতেই পারে। বিবাহ বিচ্ছেদ না হলেও দীর্ঘদিন আলাদা আলাদ থাকবে রচনা ও তাঁর স্বামী প্রবাল বসু। কিন্তু এবার হয়তো তাঁরা একসঙ্গে থাকতে শুরু করতে পারেন। তেমনই জল্পনা তুঙ্গে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্ট ঘিরে। স্বামী ও সন্তানের সঙ্গে ভোজ টেবিলের ছবি পোস্ট করার পরই তাদের নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। এই প্রসঙ্গে বলে রাখা ভাল প্রবাল বসু রচনা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের দ্বিতীয় স্বামী।

রচনা বন্দ্যোপাধ্য়ায় প্রথমে বিয়ে করেছিলেন ওড়িয়া সিনেমার অভিনেতা সিদ্ধান্ত মহাপাত্রের সঙ্গে। দুজনেই ওড়িয়া সিনেমার জনপ্রিয় জুটি ছিলেন। কিন্তু তাঁদের সম্পর্ক বেশিদিন দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায়। ২০০৪ সালে বিবাহ বিচ্ছেদ। তারপর রচনা বিয়ে করেন প্রবাল বসুকে। প্রণীল তাঁদের একমাত্র সন্তান।

কিন্তু প্রণীল রচনার সঙ্গে থাকলেও প্রবাল তাদের সঙ্গে দীর্ঘ দিন থাকতেন না। কিন্তু রাজনীতি রচনার সামাজিক জীবনের সঙ্গে সঙ্গে ব্যক্তিগত জীবনের মোড়ও ঘুরিয়ে দিয়েছে। ভোট প্রচারের সময়ই রচনার পাশে দেখা গিয়েছিল প্রবালকে। আবার মনোনয়ন দাখিলের সময় রচনার পাশে ছিলেন প্রবাল। পাঞ্জাবির বুক পকেটে সাঁটা ছিল স্ত্রীর ছবি। সঙ্গে ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতীকও। তৃণমূল রচনাকে প্রার্থী ঘোষণার পর থেকেই রচনার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন প্রবাল। রাজনীতির ময়দানে রীতিমত আনকোরা ছিলেন রচনা।

কঠিন পরিস্থিতিতেই রচনার পাশে দাঁড়াতে সম্পর্কের শীতলতা ভাঙেন প্রবাল। জয়ের পরই প্রবাল বলেছিলেন রচনা যা ছোঁয় তা সোনা হয়ে যায়। যেখানে হাত দিয়েছিলেন সেটাই সোনা হয়ে গিয়েছে। রচনার প্রতি প্রবালের এই আস্থাই বলে দিচ্ছিল তারা আবারও পাশাপাশি আসতে পারেন। সম্প্রতি রচনার ভোট টেবিলে গোটা পরিবারের একত্র ছবি বলছে প্রবাল - রচনার সম্পর্কের শীতলতা কাটতে চলেছে।