সংক্ষিপ্ত
দলের নেতাদের ভোট নিয়ে দ্বন্দ্ব থাকলেও পশ্চিমবঙ্গের কর্তৃত্বে যে দলনেত্রীই থাকবেন, তা নিয়ে বেশ আত্মবিশ্বাস শোনা গেল শতাব্দী রায়ের কথায়।
২০২২-এ শাসক দলের বহু নেতাদের ওপর নজর পড়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের। রাজ্যের অন্দরে দুর্নীতি দমন করতে ২০২৪-এর নির্বাচনের আগে তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে উঠেপড়ে লেগেছে কেন্দ্রের বাহিনী। ২০২২-এর মাঝামাঝিতেই গ্রেফতার হয়ে গিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা শাসকদলের তৎকালীন মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর বিরুদ্ধে ছিল নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ। তাঁর পরে সিবিআইয়ের নজরে এসেছেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। গত অগাস্ট মাস থেকে জেলা সভাপতি অনুব্রত রয়েছেন জেল হেফাজতে। এই পরিস্থিতিতে বার বার বীরভূম সফরে আসছেন তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়।
পশ্চিমবঙ্গে একাধিক নেতাকে বিভিন্ন মামলায় ডেকে পাঠাচ্ছে সিবিআই এবং ইডি। কেষ্ট-কন্যা সুকন্যাকেও বারবার সম্মুখীন হতে হচ্ছে কড়া জেরাপর্বে। সোমবার বীরভূমের রামপুরহাটে গিয়ে দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমর্থন জানিয়ে তৃণমূলের সাংসদ শতাব্দী রায় বলেছেন, ‘‘যতই যা হোক, পশ্চিমবঙ্গ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছিল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরই থাকবে।’’
৭ নভেম্বর বীরভূমের রামপুরহাটে ঘাসফুল শিবিরের বিজয়া সম্মেলনীর অনুষ্ঠান ছিল। সেই অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে বীরভূমের সাংসদ জানিয়েছেন, মানুষের কাছে উন্নয়ন পৌঁছে দেওয়াই হবে তাঁদের মূল লক্ষ্য। শতাব্দীর বক্তব্য, ‘‘সামনে ২০২৪ সাল। লোকসভা নির্বাচন রয়েছে। সেই কারণেই ’২৪ পর্যন্ত নানা ঘটনা ঘটবে। নানা কাণ্ড, নানা মিথ্যা প্রচার হবে। কিন্তু আমাদের লড়াই করতে হবে।’’ বলা বাহুল্য, ‘নানা ঘটনা’ বলতে তৃণমূল শিবির যে এর আগে বারবার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ইডি সিবিআইকে ব্যবহার করে দলের নেতাদের গ্রেফতারির অভিযোগ তুলেছিল, শতাব্দীও দলের সেই অভিযোগকেই আরও একবার উসকে দিলেন ‘মিথ্যা প্রচার’ শব্দবন্ধ ব্যবহারের মাধ্যমে। তবে, তিনি নিজে এই শব্দের বিস্তারিত ব্যাখ্যায় যাননি। তিনি বলেছেন, ‘‘যে সব উন্নয়নমূলক কাজ হচ্ছে, তার ঠিকঠাক পরিষেবা মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। মানুষের ভালবাসাই আসল ভোটবাক্স।’’
বীরভূমে গিয়ে তৃণমূল সাংসদ শতাব্দীর বক্তব্য, ‘‘কিছু দিন পর পঞ্চায়েত ভোট। তার পর লোকসভা ভোট। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ভাবে রাজ্যের পাশে থাকার অঙ্গীকার করেছেন, তা রক্ষা করছেন। আমাদের কর্তব্য, তাঁকে সমর্থন করা। শুধু নিজেদের কাজ করে যাওয়া।’’ এর সঙ্গে তিনি এও বলেন যে, ‘যিনি যে পদে থাকবেন, তাঁকে তাঁর নিজের কাজটুকু দায়িত্ব সহকারে করতে হবে।’ দলের নেতাদের ভোট নিয়ে দ্বন্দ্ব থাকলেও পশ্চিমবঙ্গের কর্তৃত্বে যে দলনেত্রীই থাকবেন, তা নিয়ে বেশ আত্মবিশ্বাস শোনা গেল শতাব্দী রায়ের কথায়। তিনি বলেন, ‘‘যে যা-ই বলুন, পশ্চিমবঙ্গ মমতারই থাকবে।’’
আরও পড়ুন-
পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া থেকে জম্মু-কাশ্মীরে গিয়ে নাশকতার ছক কষছিল আল কায়দা জঙ্গি, গ্রেনেড সহ ধরা পড়ল পুলিশের জালে
দরিদ্র নাগরিকদের জন্য ভারতে সংরক্ষণ কোটা থাকবেই, মোদী সরকারের পক্ষেই রইল সুপ্রিম কোর্ট
কুকুরকে খাবার দিতে দেরি করায় ভাইকে লাথি মেরে পাঁজর ভেঙে দিল দাদা, কেরলে হাড়হিম করা খুন