সংক্ষিপ্ত
বিজেপির বাংলাভাগের এজেন্ডার তীব্র বিরোধিতা তৃণমূল কংগ্রেসের। উত্তরবঙ্গে সমাবেশ ঘাসফুল শিবিরের। উদয়ন গুহ নিশানা করলেন জন বার্লা ও নিশীথ প্রামাণিককে।
বিজেপি বাংলাকে ভাগ করতে চাইছে। এই অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের দীর্ঘ দিনের । সোমবার বিজেপির এই বিভাজনমূলক এজেন্ডার প্রতিবাদে উত্তরবঙ্গ বাণিজ্যিক কেন্দ্রের সামনে একটি সমাবেশ করে তৃণমূল। তৃণমূলের অভিযোগ উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গকে ভেঙে আলাদা রাজ্য তৈরির কথা বলেছে বিজেপির সাংসদরা। রাজ্যের মানুষকে ক্রমাগত উস্কানি দিচ্ছে। তবে এই ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকার কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না বলেও অভিযোগ করে তৃণমূল। তৃণমূলের দাবি কেন্দ্রীয় সরকার উত্তরবঙ্গের দুই বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয়মন্ত্রীর বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।
তৃণমূল কংগ্রেসের টার্গেটে রয়েছে রাজ্যের দুই বিজেপি সাংসদ জন বার্লা , যিনি সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী ও নিশীথ প্রামাণিক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী। দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বিরুদ্ধেই পুরনো দুটি মামলা ছিল। যা বর্তমানে সক্রিয় করা হয়েছে। মামালগুলি দায়ের হয়েছিল ২০০৯ সালে ও ২০১৯ সালে।
এদিনের বৈঠকে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ণ গুহ উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলে, 'দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজ্যকে বিভক্ত করার ষড়যন্ত্রের পিছনে রয়েছেন। এরা রাজ্যের মানুষের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান ও সাম্প্রতীর মধ্যে ফাটল তৈরি করতে চাইছেন।' তৃণমূল কংগ্রেসের যুবনেত্রী সায়নী ঘোষও একহাত নেন বিজেপিকে। তিনি বলেন,'পশ্চিমবঙ্গকে ভাগ করার জন্য বিজেপি যে চক্রান্ত করছে তা কোনও দিনই সফল হবে না।'
এদিন সমাবেশের পর উদয়ন গুহ বলেন, রাজ্যের দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বার্লা ও নিশীথ প্রামাণিক- পৃথক দুটি মামলায় অভিযুক্ত। তাদের বিরুদ্ধে পৃথকভাবে ওয়ারেন্টও জারি করা হয়েছে। তবে বিজেপি বিষয়টিতে গুরুত্ব দিতে নারাজ। তাই বিজেপি এখনও পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপ করছে না।
নিশীথ প্রামাণিকের বিরুদ্ধে ২০০৯ সালে একটি সোনার দোকানে চুরির অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। এই মামলায় তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্টও জারি করা হয়েছে। অন্যদিকে ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে প্রচারের জন্য বাইক মিছিল করার অভিযোগে মামলা চলছে জন বার্লার বিরুদ্ধে। তাঁর বিরুদ্ধেও ওয়ারেন্ট জারি করা হয়েছে বলে অভিযোগ উদয়ন গুহর। তবে এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত জন বার্লা বা নিশীথ প্রামাণিক কেউই কোনও মন্তব্য করেনি। তবে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, বিজেপি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আইন আইনের পথেই চলবে। তৃণমূল নেতারা নিজেদের দুর্নীতি ঢাকতেই এজাতীয় পদক্ষেপ করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
অন্যদিকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার আগেই বেশ কয়েকবার বাংলাভাগের জল্পনা উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেছিলেন গেরুয়া শিবির বাংলাভাগ সমর্থন করে না।
আরও পড়ুনঃ
ইমরানকে হত্যার ষড়যন্ত্র করছে 'শত্রু দেশের সংস্থা', নাম না করে পাক-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নিশানায় ভারত
দিল্লি সীমানায় চলা কৃষক আন্দোলনের বিজয় দিবস, গোটা দেশের সঙ্গে পালন করা হল এই রাজ্যেও