সংক্ষিপ্ত

বহু ব্যক্তিকে ফ্ল্যাট দেওয়ার নাম করে বিপুল অঙ্কের টাকা প্রতারণা করার অভিযোগ উঠেছিল টলি অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে এবার ১২ সেপ্টেম্বর নুসরত জাহানকে হাজিরা দেওয়ার নোটিস পাঠাল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

বিজেপির তারকা নেতা তথা টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা যশ দাসগুপ্তর পাশে দাঁড়িয়ে জোর গলায় তিনি সংবাদমাধ্যমের কাছে জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, ইডি তাঁকে ডাকবে না। টলিউডের সেই খ্যাতনামা অভিনেত্রী, তথা, শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ নুসরত জাহানকে মাত্র এক মাসের মধ্যেই তলবের চিঠি পাঠাল ইডি। বহু ব্যক্তিকে ফ্ল্যাট দেওয়ার নাম করে বিপুল অঙ্কের টাকা প্রতারণা করার অভিযোগ উঠেছিল টলি অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে এবার ১২ সেপ্টেম্বর নুসরত জাহানকে হাজিরা দেওয়ার নোটিস পাঠাল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।  আগামী মঙ্গলবার তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

তবে, নুসরত জাহান একা নন। তাঁর সঙ্গে তলবের চিঠি পাঠানো হয়েছে আরেক টলি অভিনেত্রী রূপলেখা মিত্রের কাছেও। তাঁকে ১৩ সেপ্টেম্বর হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। নুসরত যে সংস্থার পরিচালক পদে কাজ করতেন ২০১৪ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত, সেই ‘সেভেন সেন্সেস ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেড’-এর ডিরেক্টর রাকেশ সিং সহ আরও ৬ জনকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। ‘সেভেন সেন্সেস ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেড’ ফ্ল্যাট দেওয়ার নাম করে ব্যাঙ্ক কর্মীদের ঠকিয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কের অবসরপ্রাপ্ত কর্মীরা প্রথমে ২ কামরার ফ্ল্যাট কেনার জন্য প্রচুর টাকা দিয়েছিলেন। কয়েক মাস পরে অন্য জায়গায় অ্যাপার্টমেন্ট বানানো হবে তাঁদের কাছে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়, এবং বলা হয় যে তাঁরা তিন কামরার ফ্ল্যাট পাবেন। 

‘সেভেন সেন্সেস ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেড’-এর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট টাকা দিয়ে দেওয়ার অনেক বছর পরেও কোনও ক্রেতা ফ্ল্যাট পাননি। অভিনেত্রী নুসরতের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে যে, ওই বিপুল অঙ্কের টাকা দিয়ে তিনি পাম অ্যাভিনিউয়ে বিলাসবহুল ফ্ল্যাট কিনেছেন। প্রতারিত কর্মীদের অভিযোগ যে, প্রথমে গড়িয়াহাট থানায় অভিযোগ দায়ের করতে গেলে পুলিশ তাঁদের মামলা গ্রহণ করেনি। এরপর তাঁরা আলিপুর আদালতে গিয়ে মামলা দায়ের করেন। আদালত এই মামলায় পর পর ২ বার নুসরতের বিরুদ্ধে সমন জারি করে। সেই সময়ে তিনি হাজিরাও দেননি বলে জানা গেছে। বঙ্গের বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা এই অভিযোগ নিয়ে শোরগোল ফেলে দেওয়ার পর সেই মামলায় নুসরতকে তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।

যদিও সেসময়ে নুসরত জাহান দাবি করেছিলেন যে, ওই কোম্পানি থেকে তিনি ১ কোটি ১৬ লক্ষ ৩০ হাজার ২৮৫ টাকা ধার নিয়েছিলেন। তারপর ২০১৭ সালে সুদসমেত তিনি ১ কোটি ৪০ লক্ষ ৭১ হাজার ৯৯৫ টাকা ফেরত দিয়ে দিয়েছিলেন। লেনদেন সংক্রান্ত ব্যাঙ্কের নথিও তাঁর কাছে আছে বলে দাবি করেছিলেন অভিনেত্রী। কিন্তু, ‘সেভেন সেন্সেস ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেড’ সংস্থার আরেক কর্তা রাকেশ সিং বলাছিলেন যে, এই কোম্পানি নুসরত জাহানকে কোনও ঋণই দেয়নি। নুসরত কোম্পানির দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছিলেন ২০১৭ সালে। তারপর ৬ বছর ধরে তাঁর সঙ্গে সংস্থার কোনও যোগাযোগ নেই। সেই দাবির পর ইডি নুসরতকে বিপুল আর্থিক নয়ছয়ের বিষয়ে কী প্রশ্ন করে, সেটাই এখন জানার বিষয়। 

আরও পড়ুন- 
BJP News: 'উত্তরের পাপ্পু রাহুল, দক্ষিণের পাপ্পু উদয়নিধি', মন্তব্য তামিলনাড়ুর বিজেপি রাজ্য সভাপতির
By Poll News: ধূপগুড়ির ভোটে তৃণমূলের ক্ষোভ, কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে মেজাজ চড়ছে চরমে
Teachers Day 2023: শিক্ষক দিবসে ১০ হাজার টাকা করে পাবেন ছাত্রছাত্রীরা, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বড় উদ্যোগ