সিগন্যালিংয়ের ত্রুটির জেরে দমদম স্টেশনে যাত্রীদের ভিড় জমে যায়। অফিস টাইমে ট্রেন চলাচল ব্যাহত হওয়ায় নিত্যযাত্রীরা চরম দুর্ভোগের শিকার হন। তাঁরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, প্রায় দিনই এমন ঘটনা ঘটে, কোনও না কোনও কারণে ট্রেন পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে।
দমদমে আচমকা দাঁড়িয়ে গেল পরপর লোকাল ট্রেনগুলো। অফিস টাইমে এই ঘটনায় বিরক্তি শুরু ট্রেনযাত্রীদের। শনিবার সকালে দমদম স্টেশনে সিগন্যালিংয়ের ত্রুটির কারণে চরম ভোগান্তির শিকার হলেন নিত্যযাত্রীরা। অফিস টাইমে ট্রেন থমকে যাওয়ায় ক্ষোভ উগরে দিলেন তাঁরা। রেল সূত্রে জানা যায়, শনিবার সকাল ৯টা নাগাদ দমদমের তিন নম্বর আপ লাইনে সিগন্যালিং প্রক্রিয়ায় ত্রুটি দেখা দেয়। স্বয়ংক্রিয় সিগন্যালিং ব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে বিকল হয়ে যায়। ফলে, ম্যানুয়ালি সিগন্যাল দিতে হয়। এর জেরে ডাউন ডানকুনি লোকাল সহ একাধিক লোকাল ট্রেন বিভিন্ন স্টেশনে দাঁড়িয়ে পড়ে। অনেক ট্রেন দেরিতে চলাচল করে।
পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে রেলের তৎপরতা চোখে পড়ল। খবর পেয়েই রেলের ইঞ্জিনিয়াররা ঘটনাস্থলে পৌঁছে মেরামতির কাজ শুরু করেন। রেলের তরফে জানানো হয়, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে কিছুটা সময় লাগবে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ চালিয়ে যাওয়ার পর প্রায় এক ঘণ্টা পর সকাল ১০টা থেকে ধীরে ধীরে পরিষেবা স্বাভাবিক হতে শুরু করে। তবে আচমকা এভাবে হয়রানি হতেই যথেষ্ট ক্ষুব্ধ হতে দেখা গেল নিত্যযাত্রীদের। অনেকেই সময় মতো নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছানোর উদ্দেশ্য ট্রেন থেকে নেমে হাঁটতে শুরু করলেন।
এদিন এই ঘটনায় যাত্রীদের ভোগান্তি চরমে পৌঁছে যায়। সিগন্যালিংয়ের ত্রুটির জেরে দমদম স্টেশনে যাত্রীদের ভিড় জমে যায়। অফিস টাইমে ট্রেন চলাচল ব্যাহত হওয়ায় নিত্যযাত্রীরা চরম দুর্ভোগের শিকার হন। তাঁরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, "প্রায় দিনই এমন ঘটনা ঘটে, কোনও না কোনও কারণে ট্রেন পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে। যার কারণে আমাদের অফিসে পৌঁছতে দেরি হচ্ছে। রেলের উচিত জরুরী ভিত্তিতে এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান করা।"
প্রসঙ্গত, গত কয়েক মাস ধরে প্রায়ই লোকাল ট্রেন বাতিলের ঘটনা ঘটছে। কখনও ওভারহেডের কাজ, কখনও সিগন্যালিংয়ের ত্রুটি, বিভিন্ন কারণে হাওড়া ও শিয়ালদহ শাখায় ট্রেন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। শনিবারের এই ঘটনা ফের একবার রেলের পরিষেবা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল। যাত্রীদের অভিযোগ, রেল কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে যথেষ্ট তৎপর নয়। সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য প্রশাসনের আরও বেশি নজর দেওয়া উচিত।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
