Trolley Case at Nandigram:গৃহশিক্ষকের কীর্তিতে হতবাক নন্দীগ্রাম (Nandigram)। বাড়িতে পড়াতে গিয়ে চার বছরের শিশুকে ট্রলিতে ভরে অপহরণের চেষ্টার অভিযোগ উঠল গৃহশিক্ষকের বিরুদ্ধে।
Trolley Case at Nandigram:গৃহশিক্ষকের কীর্তিতে হতবাক নন্দীগ্রাম (Nandigram)। বাড়িতে পড়াতে গিয়ে চার বছরের শিশুকে ট্রলিতে ভরে অপহরণের চেষ্টার অভিযোগ উঠল গৃহশিক্ষকের বিরুদ্ধে। এই ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে। শিশুটিকে উদ্ধার করা হলেও সংকটজনক অবস্থায় রয়েছে। এই ঘটনায় পুলিশ গৃহশিক্ষক সহ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে।
নন্দীগ্রামের গড়চক্রবেড়িয়ার কাঁটাখালি এলাকার বাসিন্দা সঞ্জয় শিমূল কুণ্ডু। শুক্রবার এক ছাত্রকে বাড়িতে পড়াতে গিয়েছিলেন। শিশুটির বয়স মাত্র চার। বাবা ও মা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। তাঁরা রুজিরুটির তাগিদে সকালেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে সঞ্জয় একটি ৪ বছরের শিশুকে অপহরণের ছক কষে। দোলের দিন পড়ুয়ার বাড়িতে যায়। সেখানেই শিশুটির মুখে কাগজ গুঁজে দেয়। তাই শিশুটি চিৎকার করতে পারেনি। তারপরই আগে থেকে জোগাড় করে রাখা একটি ট্রলি ব্যাগে শিশুকে জীবন্ত অবস্থায় ভরে ফেলে। পরিবার ও প্রতিবেশীদের অজান্তেই বাড়ির বাইরে নিয়ে আসার চেষ্টা করে।
কিন্তু সেই সময় একটি ৯ বছরের মেয়ে সঞ্জয়কে দেখে ফেলে। সেখানেই মেয়েটিকে দড়ি দিয়ে হাতপা বেঁধে ফেলে রাখে সঞ্জয়ের সাগরেদরা। তারপর সেখান থেকে চম্পট দেয়। কিন্তু সেই মেয়েটির চিৎকার চেঁচামেটিতে স্থানীয়রা জড়ো হয়। কিশোরীকে উদ্ধার করে তারা। তারপরই ৯ বছরের মেয়েটি সবকথা খুলে বেলে।
প্রতিবেশীরাই সঞ্জয় ও তার সাগরেদদের খুঁজতে বেরিয়ে পড়ে। গ্রামে গোটা ঘটনার কথা জানাজানি হয়ে যায়। এই অবস্থায় সঞ্জয়রা বিপদ বুঝে নন্দীগ্রাম-২ ব্লকের ঘোলপুকুরিয়া এলাকায় ট্রলি ফেলে। তারপরই পুলিশ শিশুটিকে উদ্ধার করে। পুলিশের তৎপরতায় গ্রেফতার হয় সঞ্জয় -সহ বাকি চার অভিযুক্ত।
জেলায় সঞ্জয় জানিয়েছে, ছাত্রের বাবা তার কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছিল। কিন্তু ঋণ শোধ করছিল ন। একাধিকবার টাকা চেয়েছিল সঞ্জয়। তাই টাকা আদায়ের জন্যই শিশুর বাবার ওপর চাপ সৃষ্টি করতেই অপহরণের ছক কষেছিল। নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ শিশু অপহরণের অভিযোগে সঞ্জয়-সহ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করে।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
