North Bengal Crime News: বাঁশের আড়ালেই চলছিল বাঁ। বন দফতরের বিশেষ অভিযানে ভেস্তে গেল পাচারের ছক। বিশদে জানতে পড়ুন সম্পূর্ণ  প্রতিবেদন…

North Bengal Crime News: বাঁশের আড়ালে চলছিল লরি ভর্তি বার্মাটিক পাচার। বিশেষ অভিযানে রুখে দিল মোরাঘাট রেঞ্জের বন কর্মীরা। গোপন সূত্রের খবরের ভিত্তিতে মোরাঘাট রেঞ্জের কাছে খবর আসে অসমের দিক থেকে একটি ষোল চাকা লরিতে করে বাসের আড়ালে বার্মাটিক পাচার করা হচ্ছে। 

জানা গিয়েছে, সেই খবর মিলতেই মোরাঘাট রেঞ্জ অফিসার তড়িঘড়ি সোনাখালী বিট অফিসারকে গাড়িটি আটকানোর নির্দেশ দেন। খবর পেয়ে তৎক্ষনাৎ বনকর্মীদের নিয়ে এশিয়ান হাইওয়ে-৪৮ এ ছুটে আসেন সোনাখালী বিটের বিট অফিসার বাবলু দাস। ততক্ষণে লরিটি আংরাভাসা সেতু পেড়িয়ে গিয়েছিল।

রাস্তায় এসে তিনি নিজের বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগিয়ে কায়দা মতো গয়ের কাটার দিক থেকে আসা গাড়িগুলোকে আটকে সাময়িক জ্যাম তৈরি করে ধিরে ধিরে গাড়িগুলিকে ছেড়ে দিয়ে ঐ নির্দিষ্ট নম্বরের গাড়িটিকে আটক করে সোনাখালি বিটে নিয়ে যান। লরির উপড়ের বাঁশ সরাতেই চক্ষু চড়ক গাছ হয়ে যায় বনকর্মীদের। দেখা যায় লরিটির উপড়ে কাঁচা বাঁশ সাজানো থাকলেও ভেতরে ভর্তি বার্মা টিকের বড় বড় লক। গাড়িতে থাকা চালক ও সহকারিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। ধৃত একজনের পশ্চিম বর্ধমানের রাজেন্দ্র হাজাম এবং অপরজন ঝাড়খন্ডের জিতেন্দর শিং বলে জানা গিয়েছে। 

মোরাঘাট রেঞ্জের রেঞ্জ অফিসার চন্দন ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, গোপন সূত্রের খবরের ভিত্তিতে আমরা লরিটিকে আটক করি।লরিটির ভেতরে বাশের আড়ালে বার্মাটিক রয়েছে যার মূল্য অনুমানিক পাঁচ লক্ষাধিক টাকা।ধৃত চালক ও সহকারিকে কোর্টে তোলা হবে।

অন্যদিকে, শিলিগুড়ি পুরনিগমের বোর্ড মিটিংয়ে ঘটল নজিরবিহীন ঘটনা। সভা চলাকালীনই মেয়র পারিষদ (MMIC) দিলীপ বর্মণকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাকে ঘিরে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয় সভাকক্ষে।

সূত্রের খবর, একটি পুরনো বিল্ডিং ভাঙা সংক্রান্ত বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন দিলীপ বর্মণ। সেই প্রশ্নের উত্তরে চেয়ারম্যান ও ডেপুটি মেয়রের সঙ্গে তাঁর তীব্র বচসা বাঁধে। এরপরই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।

"যান, বেরিয়ে যান!" — এমন নির্দেশ দেওয়া হয় সভায় উপস্থিত তৃণমূলের অন্য কাউন্সিলরদের তরফে, এমনই দাবি দিলীপ বর্মণের। তিনি অভিযোগ করেছেন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিয়ে প্রশ্ন তোলার কারণেই তাঁকে সভা থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে।

এই ঘটনার পর থেকেই শহর রাজনীতিতে শুরু হয়েছে জল্পনা। তৃণমূলের অন্দরেই কি মতবিরোধ? না কি গণতান্ত্রিকভাবে প্রশ্ন তোলার পরিবেশ নেই পুরনিগমে? দিলীপ বর্মণের বক্তব্য ঘিরে সেই প্রশ্ন উঠে এসেছে।

পুরনিগম সূত্রে এখনও কোনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে দলীয় পর্যায়ে এই ঘটনা নিয়ে উচ্চ পর্যায়ে আলোচনার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না রাজনৈতিক মহল। পুরনিগমের বোর্ড মিটিংয়ে এমন ঘটনা একদিকে প্রশাসনিক স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে, অন্যদিকে শহর রাজনীতিতে তৈরি করছে নতুন উত্তাপ।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।