সংক্ষিপ্ত

মুর্শিদাবাদে বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠনগুলির তৎপরতা বাড়ছে বলে অভিযোগ করেছেন প্রাক্তন সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তাঁর এই অভিযোগের সারবত্তা রয়েছে বলেই প্রমাণিত হচ্ছে।

জাল পাসপোর্ট চক্রের তদন্তে নেমে আরও বড় বিপদের ইঙ্গিত পেলেন তদন্তকারীরা। অসমের ধুবুরি থেকে জাল পাসপোর্ট চক্রের তদন্তে নেমে চারজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এবার এই চক্রের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে মুর্শিদাবাদে এসে দু’জনকে গ্রেফতার করল অসম পুলিশ। অসম থেকে যে চারজন গ্রেফতার হয়েছে, তাদের মতোই মুর্শিদাবাদ থেকে ধৃতরাও জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। মুর্শিদাবাদ থেকে ধৃতদের নাম মহম্মদ আব্বাস এবং মিনারুল শেখ। তাদের কাছ থেকে চারটি মোবাইল ফোন এবং একটি পেনড্রাইভ উদ্ধার হয়েছে। আব্বাস ও মিনারুল বাংলাদেশের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন ‘আনসার-উল্লাহ’-এর পশ্চিমবঙ্গ শাখার সক্রিয় সদস্য বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাদের গ্রেফতার করার পর অসমে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। ধৃতদের পরিবারের সদস্যদের দাবি, তারা এ বিষয়ে কিছু জানে না। ধৃতরা জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত নয় বলেও দাবি পরিবারের।

সীমান্তে সক্রিয় বাংলাদেশের জঙ্গিরা

পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলির মধ্যে মালদা, মুর্শিদাবাদ, উত্তর দিনাজপুরে ‘আনসার উল্লাহ’-এর সক্রিয়তা বেড়েছে বলে গোয়েন্দা রিপোর্টে জানা গিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি অসমের সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতেও মডিউল তৈরি করেছে বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠন জেএমবি। স্থানীয় যুবকদের কট্টরপন্থী করে তোলার পাশাপাশি আগ্নেয়াস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণও দেওয়া হচ্ছে। পরিযায়ী শ্রমিকদের জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত করে সারা ভারতে অস্থিরতা তৈরির চক্রান্ত করছে বাংলাদেশের মৌলবাদীরা। পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি অসম পুলিশও বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করছে।

সীমান্তে বাড়ছে মৌলবাদ

প্রদেশে কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী দাবি করেছেন, বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী পশ্চিমবঙ্গের যে জেলাগুলিতে মুসলিম জনসংখ্যা বেশি, সেই জেলাগুলিতে মৌলবাদ বাড়ছে। রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারকে অবিলম্বে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন অধীর।

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

আরও পড়ুন-

এবার বদলে যাবে বাংলাদেশের নাম? নতুন নাম বাছতে দুই সংগঠনের মধ্যে টানাপোড়েন শুরু

সত্যি কি বাংলাদেশের ট্যাঙ্ক আসছে ভারতের সীমান্তে? দেখুন ভাইরাল ছবির ফ্যাক্ট চেক কী বলছে

YouTube video player