সংক্ষিপ্ত

ভগবান শিবের স্তুতি করার অপরাধে স্থানীয় মুসলিম জনতা তাদের ওপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। রীতিমত মারধর করা হয় তাদের। ১৮-২০ জন সন্ন্যাসী আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

গুরুতর ঘটনার সাক্ষী থাকল মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা থানার কামনগর পঞ্চায়েতের কামনগর গ্রাম। জানা গিয়েছে গাজনে সন্ন্যাস নেওয়া কয়েকজন টোটোয় চড়ে গ্রামের মন্দিরে ফিরছিলেন। ভগবান শিবের স্তুতি করার অপরাধে স্থানীয় মুসলিম জনতা তাদের ওপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। রীতিমত মারধর করা হয় তাদের। ১৮-২০ জন সন্ন্যাসী আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

পাশাপাশি একই দিনে বেলডাঙা, শক্তিপুর,সালার থানা এলাকার কুমারপুর, মির্জাপুর তালিতপুরসহ একাধিক এলাকার মন্দিরে হামলা এবং প্রতিমা ভাঙচুরের অভিযোগ রয়েছে স্থানীয়দের বিরুদ্ধে । কুমারপুরের শিবমন্দিরের ভিতরে প্রস্রাব করী হয় বলেও অভিযোগ ।

কামনগর পঞ্চায়েতের বিজেপি প্রধান বাপন ঘোষ জানিয়েছেন, শুধু গাজনের সন্ন্যাসীদের উপর হামলাই নয়, বিজেপি পার্টি অফিসে অগ্নিসংযোগ, একটা মুদিখানা দোকানে ভাঙচুর চালায় দুষ্কৃতীরা । এ নিয়ে থানা নির্দিষ্ট অভিযোগ দায়ের করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

মুর্শিদাবাদের একটি মন্দিরে ভাঙচুরের ভিডিও নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন, 'মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলার বেলডাঙ্গা থানার অন্তর্গত মৌজামপুর ও মির্জাপুরে দুপুর থেকে দুষ্কৃতীরা ধর্মীয় স্থান ভাঙচুর করছে। এমনকি তারা নিরপরাধ মানুষের বাড়িঘর টার্গেট করছে এবং নিরবচ্ছিন্ন ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে। ধ্বংসযজ্ঞে সহায়তার জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে । আমি মুখ্য সচিব শ্রী বি. পি. গোপালিকা (আইএএস), ডিজিপি ডব্লিউবি পুলিশ শ্রী সঞ্জয় মুখার্জি (আইপিএস), এডিজি আইন ও শৃঙ্খলাকে অনুরোধ করছি; শ্রী মনোজ কুমার ভার্মা (আইপিএস) অবিলম্বে হস্তক্ষেপ করুন এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ভাঙচুর বন্ধ করুন। নির্বাচন কমিশনের উচিত সচেতনতা নেওয়া এবং এলাকায় স্বাভাবিকতা পুনরুদ্ধারের জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।'

 

 

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।