সংক্ষিপ্ত
বিশ্বভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে শিক্ষাবিদদের চিঠিতে উষ্মা প্রকাশ কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালের। অন্যদিকে সুদীপ্ত ভট্টাচার্য জানিয়েছেন তিনি লড়াই চালিয়ে যাবেন।
বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপককে বরখাস্ত করা হয়েছে। এই বিষয়ে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠি লিখিছিলেন বিখ্যাত ভাষাবিদ নোয়াম চমস্ক-সহ আড়াইশো শিক্ষাবিদ। এই ঘটনার মাত্র তিন দিন পরেই শিক্ষাবিদদের চিঠি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আসল বিষয়টি না জেনেই চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন অনেক শিক্ষাবিদ। গত দুই বছর ধরে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে একাধিক সমস্যার মুখোমুখী হয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখপাত্র বিশেষজ্ঞ মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায়ের জারি করা বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, সুদীপ্ত ভট্টাচার্য একটি সংস্থার অফিস আধিকারিক ছিলেন যার কোনও প্রাতিষ্ঠানিত স্বীকৃতি নেই। তাঁকে অসদাচরণের জন্য কার্যনির্বাহী পরিষদ এর আগে ১৪ বার বিষয়টি নিয়ে অবগত করেছিল। অভিযোগ জানান হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে ওই চিঠিতে যাঁরা স্বাক্ষর করেছেন তাঁদের অধিকাংশই একই বিশ্ববিদ্যালের অধ্যাপক, পশ্চিমবঙ্গের একটি রাষ্ট্র পরিচালিত বিশ্ববিদ্য়ালয়ের সদস্য। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, 'আমরা সেই শিক্ষকদের নিন্দা জানাই যারা বিশ্বভারতীকে বিশ্বাসঘাতক ও বিপথগামী শিক্ষকদের শুদ্ধ করার প্রক্রিয়া বন্ধ করার জন্য সংগঠিত হয়েছে..... বিশ্বভারতী শুধু তাই নয় যারা এর প্রতিষ্ঠাতা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মূল মূল্যবোধগুলিকে ধ্বংস করার সাথে জড়িত তাদের চিহ্নিত করতে যথেষ্ট যত্ন নিচ্ছে। গুরুদেব তাঁর দার্শনিক অগ্রাধিকারগুলি ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য যে আচার-অনুষ্ঠানের সূচনা করেছিলেন তাতে যোগদানের ক্ষেত্রেও উপেক্ষা করেছেন এবং অবহেলা করেছেন।'
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, এটি খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে প্রধানত পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষাবিদরা সেইসব শিক্ষকদের সমর্থন করছেন যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করা ও ধ্বংসা করার জন্য কাজ করছেন।
গত ৯ জানুয়ারি চমস্কি ও অন্যান্য শিক্ষাবিদরা একটি চিঠি লিখে সুদীপ্ত ভট্টাচার্যের বরখাস্তকে অবৈধ করে দাবি করেছেন। তাদের যুক্তি ছিল বিশ্ববিদ্যালের পক্ষ থেকে অসদাচরণের তালিকা যাঁচাই করার জন্য কোনও তদন্ত করা হয়নি। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সুদীপ্ত ভট্টাচার্য সমস্যা তৈরি করছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
অন্যদিকে অভিযুক্ত সুদীপ্ত ভট্টাচার্য সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, উপাচার্যের বেআইনি কার্যকলাপের বিরুদ্ধে তিনি প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। আর সেই কারণেই তাঁকে সাজা দেওয়া হয়েছে। তবে আগামী দিনেও তিনি তাঁর বিরুদ্ধে হওয়া অন্যায়ের বিরুদ্ধে তিনি লড়াই চালিয়ে যাবেন বলেও জানিয়েছেন। তিনি আরও জানিয়েছেন তাঁর সঙ্গে রাজ্যের শিক্ষাবিদ ও সমাজের সচেতন মানুষ তাঁর সঙ্গে রয়েছেন।
আরও পড়ুনঃ
শুভেন্দুর অভিযোগের পরেই মিডডে মিল খতিয়ে দেখতে রাজ্যে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল, বললেন ধর্মেন্দ্র প্রধান
CAA-র উদ্দেশ্যে সংখ্যালঘুদের ভূমিকা হ্রাস করে সংখ্যাগরিষ্ঠ শক্তিকে উৎসাহিত করা, বললেন অমর্ত্য সেন