সংক্ষিপ্ত
গণনা কেন্দ্রে ছিলেন বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র। কিন্তু তিনি গণনা কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় তাঁকে রীতিমত তাড়া করেন তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থক।
লোকসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণার আগে থেকে রাজ্যের সঙ্গে গোটা দেশের নজর ছিল সন্দেশখালির ওপর। সন্দেশখালি বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। এই কেন্দ্রে জয় পাওয়ার ব্যাপারে প্রায় নিশ্চিত ছিল বিজেপি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশের আগে একবার আর পরে একবার সভা করেছিলেন। সন্দেশখালি উত্তাল হওয়ার পরে সখানে পা রাখেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সেখানেই শেষ হাসি হাসতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। যে রেখা পাত্রকে নিয়ে চূড়ান্ত আলোচনা হয়েছে, সেই রেখাই হারতে চলেছেন। বসিরহাটের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী হাজি নুরুল প্রায় ১ লক্ষ ৪২ হাজারেরও বেশি ভোটে এগিয়ে রয়েছেন। সন্দেশখালি বিধানসভা কেন্দ্রেও এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।
এদিন গণনা কেন্দ্রে ছিলেন বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র। কিন্তু তিনি গণনা কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় তাঁকে রীতিমত তাড়া করেন তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থক। রেখা পাত্র বেরিয়ে যেতেই কার্যত সেলিব্রেশন শুরু হয়ে যায়। গণনা কেন্দ্রের বাইরে উড়ছে সবুজ আবির।
চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল সন্দেশখালি। রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশিতে গিয়েছিল এনফের্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সেই সময়ই ইডিকে ঘিরে ধরে স্থানীয় মহিলারা। প্রাণ হাতে নিয়ে পালিয়ে আসে কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকরা। কিন্তু তারপর থেকেই ফেরার শাহজাহান। সেইসময় প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা শাহজাহানের বিরুদ্ধে স্থানীয় মহিলা যৌন নির্যাতনের অভিযোগ করেন। প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। সেই সময় মহিলা আন্দোলনের নেত্রী হিসেবেই উঠে আসেন রেখা পাত্র। পরবর্তীকালে প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হিসেবে তাঁর নাম প্রস্তাব করেন। কিন্তু সেই রেখা পাত্রও হারতে চলেছেন।
এদিন গণনাকেন্দ্রেই রেখা পাত্র অভিযোগ করেন, রাজ্য পুলিশ, সন্দেশখালি থাকার পুলিশ তাঁকে হুমকি দিয়েছে। বাড়িতেও হুমকি দিয়েছে বলে দাবি করেন রেখা পাত্র। তিনি বলেন, 'রেজাল্ট বেরিয়ে গেলেই পরিবারের লোকেদের পুড়িয়ে মারবে বলে হুমকি দিয়েছে। বলেছে বাড়ির বাচ্চা, বয়স্কদের হাত পা বেঁধে পুড়িয়ে দেওয়া হবে।' এটাই প্রথম নয়, এর আগেই রেখা পাত্র তৃণমূল কংগ্রেস ও রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন।