সংক্ষিপ্ত
জয়ী প্রার্থীর সংবর্ধনার জন্য আয়োজন করা সভায় কার্যত উদয়ন গুহর বক্তব্য নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। প্রশাসনিক সিদ্ধান্তে রাজনৈতিক বৈষম্যের অভিযোগ বারবার উঠেছে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। এবার ফের একই অভিযোগ তাদের বিরুদ্ধে।
২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে কোচবিহারে জয়ী হয়েছেন TMC প্রার্থী জগদীশ বর্মা বসুনিয়া। বৃহস্পতিবার তাঁর সংবর্ধনার জন্য একটি সভার আয়োজন করা হয়। সেই সভা থেকেই এমন কথা প্রকাশ্যে এল যেখানে আবারও তৃণমূলের দাদাগিরি স্পষ্ট! উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহর এক মন্তব্য নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে জোর চর্চা। তাঁর বক্তব্য নিয়ে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছেন শিলিগুড়ির BJP বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ।
জয়ী প্রার্থীর সংবর্ধনার জন্য আয়োজন করা সভায় কার্যত উদয়ন গুহর বক্তব্য নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। প্রশাসনিক সিদ্ধান্তে রাজনৈতিক বৈষম্যের অভিযোগ বারবার উঠেছে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। এবার ফের একই অভিযোগ তাদের বিরুদ্ধে।
কী বলেছেন উদয়ন
সভায় দাঁড়িয়েই উদয়ন বলেন, ‘ধর্মীয় কারণে শহরের মানুষ BJP-কে ভোট দিচ্ছেন। আমি গতকাল আমার দফতরে গিয়েছিলেন। মাথাভাঙা ১ ব্লকের উন্নয়নের খাতিরে ৪ কোটি এবং মাথাভাঙা ২ ব্লকের উন্নয়নের খাতিরে ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিলাম’। এরপরেই টাকা আটকে দেওয়ার কথা বলে উদয়ন বলেন, ‘মাথাভাঙা, দিনহাটা শহর ও কোচবিহার শহরের জন্য যে টাকা বরাদ্দ করেছিলাম, আমি সেটা আটকে দিয়েছি। এবার শহরের মানুষকে ঠিক করতে হবে তাঁরা ধর্ম চান নাই উন্নয়ন’। রাজ্যের মন্ত্রীর এই মন্তব্য ঘিরে তুমুল শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
ইতিমধ্যেই উদয়নের এই মন্তব্য নিয়ে সুর চড়িয়েছেন শিলিগুড়ির BJP বিধায়ক। শঙ্কর ঘোষ বলেন, ‘উদয়নবাব্য যা বলেছেন সেটা স্বৈরতন্ত্রের নামান্তর। রাজ্যে যে আর গণতন্ত্র বলে কিছু বাকি নেই সেটা ওনার কথাতেই পরিষ্কার। শপথবাক্য পাঠ করে একজন মন্ত্রী এহেন মন্তব্য করতে পারেন না’। BJP বিধায়কের হুঁশিয়ারি রাজ্যপালের কাছে উদয়নের অপসারণের দাবি জানানো হবে। সেই সঙ্গেই কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন মন্ত্রী মনোহরলাল খট্টরকে ক্লিপিং সহ ব্যক্তিগতভাবে তিনি চিঠি দেবেন।
তবে প্রকাশ্য সভায় দাঁড়িয়ে উদয়ন এহেন মন্তব্য করায় TMC নেতারা অস্বস্তিতে পড়ে যান বলে খবর। এরপর জেলা TMC সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক বলেন, ‘শহরের কেন খারাপ রেজাল্ট হচ্ছে সেই বিষয়টা খতিয়ে দেখতে হবে। সম্পূর্ণ রাজ্যেই পুরসভাগুলিতে TMC পিছিয়ে। এবার এই জন্য তো আর উন্নয়ন আটকে থাকবে না’।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।