সংক্ষিপ্ত

হাওয়া অফিস জানাচ্ছে আগামী তিন-চার দিনের মধ্যেই কমপক্ষে চার ডিগ্রি বাড়বে তাপমাত্রা। পশ্চিমের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা ছাড়াতে পারে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

মঙ্গলবার থেকেই বাড়বে গৃষ্মের দাবদাহ। টানা ঝড়-বৃষ্টির জেরে কিছুদিনের স্বস্তি মিললেও ফের তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা রাজ্যে। সোমবার বিকেলে আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী আগামী তিন-চার দিনের মধ্যেই ফের গৃষ্মের প্রখর তাপে পুড়বে শহর। সোমবার র্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও মঙ্গলবার থেকে ফের বাড়বে গরম। পাশাপাশি বাড়বে ভ্যাপসা ভাবও। হাওয়া অফিস জানাচ্ছে আগামী তিন-চার দিনের মধ্যেই কমপক্ষে চার ডিগ্রি বাড়বে তাপমাত্রা। পশ্চিমের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা ছাড়াতে পারে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

দক্ষিণে তাপমাত্রা বাড়লেও বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে উত্তরে। দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়িতে বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে বলে জানা যাচ্ছে। তবে কলকাতার জন্য খারাপ খবরই দিল আবহাওয়া দফতর। রোদের প্রভাব তেমন না থাকলেও বাড়বে গরমের অস্বস্তি। আগামী তিনদিন বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই শহরে। সিকিমের ওপর বিস্তৃত অক্ষরেখার জেরে কিছুটা হলেও বৃষ্টি পেতে পারে শহর। সঙ্গে বিদ্যুৎ ও ঝোড়ো হাওয়াও থাকতে পারে। দক্ষিণবঙ্গের ৩-৪ জেলায় আজও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির পূর্বাভাস। পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, এবং ঝাড়গ্রামে আগামী ২৪ ঘণ্টায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টির সামান্য সম্ভাবনা। দক্ষিণবঙ্গের অন্যান্য জেলায় আজ বৃষ্টির সম্ভাবনা খুবই সামান্য। সোমবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৩৬ ডিগ্রি, যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি বেশি এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি।

রবিবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৫ শতাংশ। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে মঙ্গলবারও আবহাওয়ার বিশেষ পরিবর্তন দেখা যাবে না। তবে গরম বাড়তে পারে। সপ্তাহের দ্বিতীয় দিন অর্থাৎ মঙ্গলবার থেকেই বৃষ্টি কমে তাপমাত্রা বাড়বে শহরের। এদিকে, নতুন করে একটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা তৈরি হয়েছে। এর প্রভাবে আবহাওয়ার পরিবর্তন হবে উত্তর-পশ্চিম ভারতের পার্বত্য এবং সমতল এলাকায়। রাজস্থানের ওপর একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে। আর সেই ঘূর্ণাবর্ত থেকে মধ্যপ্রদেশ পর্যন্ত একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা রয়েছে। আরও একটি অক্ষরেখা রয়েছে মধ্যপ্রদেশ থেকে তামিলনাড়ু পর্যন্ত।