সংক্ষিপ্ত

বঙ্গ প্রশাসন জানাচ্ছে, এমনিতে রাজ্যের আর্থিক পরিস্থিতি খারাপ। তার উপর কেন্দ্রীয় অর্থ বন্ধ থাকায় প্রকল্প চালিয়ে যাওয়ার সমস্যা আরও বেড়েছে।

মন্ত্রিসভার বৈঠকের আলোচনায় উঠে এল শ্রম দফতরের খোঁজ। তখনই সরাসরি শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটকের কাছ থেকে শ্রম দফতরের বিভিন্ন মেলার সংখ্যা, তার পিছনে খরচের কথা বিস্তারিতভাবে জানতে চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীকে অবগত না করে বাংলায় নতুন কোনও প্রকল্প গ্রহণ করা যে যাবে না বলে দফতরগুলিকে আগেই নির্দেশ দিয়ে দিয়েছিল প্রশাসনের সর্বোচ্চ মহল। ২ নভেম্বর, বুধবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে সরাসরি মেলার খরচে রাশ টানার নির্দেশ দিলেন বঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী।

প্রশাসনিক সূত্রে খবর, শ্রমমন্ত্রী মলয় তখনই মুখ্যমন্ত্রীকে বিস্তারিত তথ্য দিয়ে জানান, প্রধানত মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই বড় করে ওই সব মেলার আয়োজন করা হয়ে থাকে। মুখ্যমন্ত্রীর পাল্টা নির্দেশ, এখন কেন্দ্র টাকা দিচ্ছে না। তাই, মেলা বন্ধ করে মানুষকে একশো দিনের কাজের সুযোগ করে দিতে হবে।

জানা গেছে, গত প্রায় এক বছর ধরে পশ্চিমবঙ্গের বরাদ্দ ১০০ দিনের প্রকল্পের টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্র সরকার। কবে সেই বরাদ্দ মেটানো হবে এবং প্রকল্প পুনরায় চালু হবে, তা নির্দিষ্ট করে জানানও হয়নি। এমনিতে রাজ্যের আর্থিক পরিস্থিতি বেশ খারাপ। তার উপর কেন্দ্রীয় অর্থ বন্ধ থাকায় সমস্যা আরও বেড়েছে। প্রশাসনিক পর্যবেক্ষকদের অনেকে জানাচ্ছেন, পঞ্চায়েত ভোটের আগে এই পরিস্থিতিতে মোটেই স্বস্তিতে নেই রাজ্য। তাই জবকার্ডধারীদের কাজের অভাব মেটানোর চেষ্টা চলছে। রাজ্যের দাবি, এই অবস্থায় বিভিন্ন দফতরের মাধ্যমে একশো দিনের কাজের প্রকল্পের জবকার্ডধারীদের বিকল্প কাজের ব্যবস্থা করতে হচ্ছে রাজ্যকে। এখনও পর্যন্ত এই ব্যবস্থায় ৬০০ কোটির বেশি অর্থ খরচ করে ফেলেছে রাজ্য।

সূত্রের খবর, এই অবস্থায় মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, একশো দিনের শ্রমিকদের কাজে লাগানো যাবে, এমন কাজকর্মে বাড়তি জোর দিতে হবে। দফতরগুলি যেন এই কাজে অগ্রাধিকার দেয়, সে ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়েছেন মমতা। এই প্রশ্নেই মেলার খরচে রাশ টানার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

এবিষয়ে শাসকদলকে বিদ্ধে করে সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘খেলা-মেলা কম করে একশো দিনের কাজে জোর দিতে হবে, এটা ভাল। কিন্তু অনেক টাকা লুঠ হয়ে গিয়েছে। তা ফেরানোর দাবিতে মানুষ ঝান্ডা নিয়ে রাস্তায় নেমেছে। তার বিচার তো দরকার।’’

 

আরও পড়ুন-
‘গুজরাটের ব্রিজ বিপর্যয়ের তদন্ত হবে, কিন্তু পোস্তা ব্রিজ ভাঙার ঘটনায় কে শাস্তি পেল?’ তৃণমূলকে কড়া প্রশ্ন সুকান্ত মজুমদারের
গুজরাটের ব্রিজ ভাঙার আঁচ বাংলাতেও, কাজ করতে গিয়ে প্রাণ হারালেন পূর্বস্থলীর যুবক 
সহজতর হচ্ছে ‘শিল্পসাথী পোর্টাল’, বাংলায় শিল্পের জন্য জমি দিতে আরও বড় উদ্যোগ রাজ্য প্রশাসনের