সংক্ষিপ্ত
পশ্চিমবঙ্গে কী উদ্দেশ্যে সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়োগ করা হয়েছিল এবং পরবর্তীকালে তাঁদের কোন কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে, সেটা নিয়ে অনেক প্রশ্ন রয়েছে।
২০১১ সালে পশ্চিমবঙ্গে সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়। শুরুতে চুক্তিভিত্তিক সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ করার সময় তাঁদের বরখাস্ত বা সাসপেন্ড করা সংক্রান্ত নিয়মে বলা হয়েছিল, ফৌজদারি মামলায় দোষী প্রমাণিত হলে, আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে বা এই অভিযোগ প্রমাণিত হলে, তোলাবাজির অভিযোগ উঠলে, রাজনৈতিক পক্ষপাতমূলক আচরণ করলে সিভিক ভলান্টিয়ারদের বরখাস্ত করা যেতে পারে। কিন্তু ৬ বছর পর এই নিয়মে বদল আনা হয়। ২০১৭ সালের নিয়ম থেকে রাজনৈতিক পক্ষপাতমূলক আচরণের ধারা বাদ দেওয়া হয়। এখানেই প্রশ্ন উঠছে, পঞ্চায়েত নির্বাচন-সহ বিভিন্ন সময়ে সিভিক ভলান্টিয়ারদের শাসক দলের কাজে লাগানোর যে অভিযোগ উঠেছে, সেই অভিযোগ থেকে রক্ষা করার জন্যই কি সিভিক ভলান্টিয়ারদের বরখাস্ত করার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক পক্ষপাতমূলক আচরণের ধারা বাদ দেওয়া হল?
সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়োগপত্রই নেই
সিভিক ভলান্টিয়ারদের বরখাস্ত করার ক্ষেত্রে বিভাগীয় তদন্তের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু সিভিক ভলান্টিয়ারদের কোনও নিয়োগপত্র দেওয়া হয় না। ফলে তাঁদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের অবকাশই নেই। পুলিশকর্মীদের যে সমস্ত নিয়মের মধ্যে থেকে কাজ করতে হয়, সিভিক ভলান্টিয়ারদের ক্ষেত্রে সেসব প্রযোজ্য নয়। ফলে তাঁদের 'অবাধ ক্ষমতা'।
সিভিক ভলান্টিয়ারদের অপব্যবহারের অভিযোগ
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে বলা হয়েছে, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত কাজে সিভিক ভলান্টিয়ারদের ব্যবহার করা যাবে না। কিন্তু বাস্তবে সেটাই দেখা যাচ্ছে। সম্প্রতি নবান্ন অভিযান রুখতেও সিভিক ভলান্টিয়ারদের ব্যবহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ। বিভিন্ন থানার পক্ষ থেকে তদন্তের কাজেও সিভিক ভলান্টিয়ারদের ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে। সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়োগের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক নেতাদের ভূমিকা রয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। ফলে সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়ছে পুলিশ বিভাগ।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
পার্কস্ট্রিট থানায় মহিলা সিভিক ভলান্টিয়ারকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ, অভিযুক্ত SI জামিন পেলেন ২৪ ঘন্টায়
মহিলা সিভিক ভলান্টিয়ারকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ, অভিযুক্ত পুলিশ আধিকারিক, তদন্তের পর গ্রেফতার
আর জি কর, আনিস খান-সহ বিভিন্ন ঘটনায় অভিযুক্ত, তারপরেও কেন সিভিক ভলান্টিয়ারদের উপর আস্থা রাজ্যের?