শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রের নতুন ওয়াকফ বিল মেনে নিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ সরকার একটি নির্দেশিকা জারি করেছে।  ৫ ডিসেম্বরের মধ্যেই রাজ্য জুড়ে ৮২০০০ ওয়াকফ সম্পত্তির তথ্য কেন্দ্রীয় পোর্টালে আপলোড করতে হবে। 

কয়েক মাস ধরে চলা অচলাবস্থার পর শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রের নতুন ওয়াকফ বিল মেনে নিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ সরকার একটি নির্দেশিকা জারি করেছে। তাতে বলা হয়েছে ৫ ডিসেম্বরের মধ্যেই রাজ্য জুড়ে ৮২০০০ ওয়াকফ সম্পত্তির তথ্য কেন্দ্রীয় পোর্টালে আপলোড করতে হবে। ওয়াকফ সংশোধনী আইন ২০২৫ এই বছরই এপ্রিল মাসে সংসদের দুই কক্ষেই পাশ হয়।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জেলা ম্যাজিস্ট্রেটদের কাছে লেখা একটি চিঠিতে পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু উন্নয়ন বিভাগের সচিব পিবি সেলিম নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রাজ্যের ওয়াকফ সম্পত্তির জেলাভিত্তিক তথ্য কেন্দ্রীয় পোর্টাল umeedminority.gov.in-এ আপলোড করার নির্দেশ দিয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এই সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক ভাবে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলেও মনে করছে অনেকে। কারণ ওয়াকফ বিল যখন কেন্দ্র পাশ করেছিল তখন তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। সংসদের ভিতরে ও বাইরে বিক্ষোভ দেখিয়েছিল। পাশাপাশি বিলের বিরোধিতায় সরব হয়েছিল। অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিক প্রকাশ্য সমাবেশি ঘোষণা করেছিলেন তিনি ওয়াকফ বিল মানেন না। তিনি হিন্দু ও মুসলিম সম্পত্তির অধিকার নেন না। তিনি বলেছিলেন ওয়াকফ নিয়ে বাংলায় কোনও সমস্যা নেই। তিনি রয়েছেন বলেও একাধিক জনসভায় মুসলিমদের আশ্বাস দিয়েছিলেন।

সংশোধিত আইন অনুসারে, ওয়াকফ বোর্ড এবং ট্রাইব্যুনালে অমুসলিম সদস্য থাকবেন এবং কোনও সম্পত্তি ওয়াকফ হিসেবে দাবি করা হলে সরকার এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস সরকার আইনের বিরুদ্ধে আদালতেও গিয়েছিল কিন্তু কোনও অনুকূল রায় পায়নি। সংশোধিত আইনের ৩বি ধারায় বলা হয়েছে যে, সারা দেশে সমস্ত নিবন্ধিত ওয়াকফ সম্পত্তির তথ্য ছয় মাসের মধ্যে (৫ ডিসেম্বর, ২০২৫) কেন্দ্রীয় পোর্টালে আপলোড করতে হবে।