সংক্ষিপ্ত

আর্থিক বঞ্চনার অভিযোগ নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য টানাপোড়েন চলেছে দীর্ঘদিন। কেন্দ্রের তরফে অসহযোগিতা, এমনকি প্রাপ্য বরাদ্দ না দেওয়ার জন্য আঙুল তোলা হয়েছে একাধিকবার।

সমগ্র শিক্ষা অভিযানে কেন্দ্রের থেকে বিপুল টাকা পেল রাজ্য সরকার। শনিবার, রাজ্যের সমগ্র শিক্ষা অভিযানে ৯৫০ কোটি টাকা দিল কেন্দ্রীয় সরকার। প্রসঙ্গত, বিভিন্ন জেলায় ক্লাসরুম তৈরি, বিল্ডিং তৈরির মত একাধিক প্রকল্প এই সমগ্র শিক্ষা অভিযানের অংশ। অভিযানের ৬০% অংশীদারিত্ব কেন্দ্রের। বাকি ৪০ শতাংশ রাজ্যের।

আর্থিক বঞ্চনার অভিযোগ নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য টানাপোড়েন চলেছে দীর্ঘদিন। কেন্দ্রের তরফে অসহযোগিতা, এমনকি প্রাপ্য বরাদ্দ না দেওয়ার জন্য আঙুল তোলা হয়েছে একাধিকবার। তার মধ্যেই এই পদক্ষেপ বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

কেন্দ্রের শিক্ষা মন্ত্রকের সঙ্গে প্রায় পাঁচ মাস আলোচনার পর এই টাকা আদায় করতে সক্ষম হল রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতর। গোটা প্রকল্পে রাজ্যের বরাদ্দ ছিল ১৬০০ কোটি টাকা। সেখান থেকেই অরথম কিস্তির অর্থ হিসাবে ৯৫০ কোটি টাকা রাজ্যের খাতে ঢুকল।

কেন্দ্রের থেকে বরাদ্দ অর্থ নিয়ে দড়ি টানাটানি নতুন। কিছু নয়। জিএসটি বাবদ রাজ্যের প্রাপ্য টাকা হোক অথবা একশো দিনের কাজ-- কেন্দ্রের দিকে আঙুল উঠএছে বারংবার। রাজ্যের তৃণমূল সরকার কেন্দ্রের প্রতি 'বিমাতৃসুলভ' আচরণের অভিযোগ করেছে দীর্ঘদিন। অপরদিকে, রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল ভারতীয় জনতা পার্টি বা বিজেপি অভিযোগ করেছে কেন্দ্রের তরফ থেকে দেওয়া টাকা ব্যবহারের কোনও হিসাব দেয়নি রাজ্য সরকার। যা নিয়ে সাম্প্রতিক সময়েও উত্তাল হয়েছে রাজ্য রাজনীতি। এখন দেখার, কেন্দ্রের তরফ থেকে সমগ্র শিক্ষা অভিযানের প্রথম কিস্তির টাকা দেওয়ার পরে কেন্দ্র রাজ্য সংঘাতের পারদ কিছুটা হলেও কমে কিনা।

আরও পড়ুন - 

বাংলার ৫০ লাখেরও বেশি বাড়িতে পৌঁছল বিশুদ্ধ পানীয় জল, রাজ্যবাসীকে অভিনন্দন জানিয়ে টুইট মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

‘রামমোহনের মতো অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ও একজন সমাজ সংস্কারক’, শুভেন্দু অধিকারীর মুখে বিচারপতির প্রভূত প্রশংসা 

সপ্তাহ জুড়ে শুকনো আবহাওয়া, জলপাইগুড়ির চেয়েও কমে গেল কলকাতার তাপমাত্রা