সংক্ষিপ্ত

বাদল অধিবেশনের আগে শুরু হবে শাসক দলের পরিষদীয় দলের বৈঠক। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে বলেও জানা যাচ্ছে।

সোমবার থেকে শুরু হল বিধানসভায় বাদল অধিবেশন। সকাল ১১টা থেকে বিধানসভায় ডাক দেওয়া হয়েছে সর্বদলীয় বৈঠকের। এরপর বেলা ১২টা থেকে শুরু হবে বিধানসভার অধিবেশন। প্রথমেই শুরু হবে বিজনেস অ্যাডভাইজারি কমিটির বৈঠক। শোকজ্ঞাপনের পরে স্থগিত হবে প্রথমদিনের অধিবেশন। এবারের বাদল অধিবেশনে উঠতে পারে মণিপুর প্রসঙ্গও। বাদল অধিবেশনের আগে শুরু হবে শাসক দলের পরিষদীয় দলের বৈঠক। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে বলেও জানা যাচ্ছে।

২৪ জুলাই থেকেই শুরু হল বিধানসভার বাদল অধিবেশন। সোমবার সকাল ১১টা থেকে শুরু হবে সর্বদল বৈঠক। দুপুর ১২টা থেকে শুরু হবে বিধানসভার বাদল অধিবেশন। তবে বিধানসভায় কী কী বিল নিয়ে আলোচনা হতে পারে তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। সূত্রের দাবি মণিপুর নিয়ে এবারের বিধানসভার অধিবেশনে আলোচনা হতে পারে। 'প্রশাসন মারফত বিধায়কদের কাছে বার্তা পাঠিয়ে দেওয়া হবে', জানিয়েছেন অধ্যক্ষ।

প্রসঙ্গত, এবার মণিপুরে হিংসার ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিংহের বিরুদ্ধে সরব হলেন বিজেপি বিধায়ক পাওলিয়েনলাল হাওকিপ। মণিপুরে হিংসার ঘটনায় রাজ্য প্রশাসনের শরিক হওয়ার অভিযোগ তোলেন তিনি। বিশিষ্ট সংবাদ সংস্থা 'ইন্ডিয়া টুডে'-এর একটু নিবন্ধে চূড়াচাঁদপুর জেলার সাইকত কেন্দ্রের বিধায়ক মণিপুরে চলতে থাকা জাতিহিংসা নিয়ে এমন মন্তব্যই করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার জড়িত বলেই এতদিনেও লাগাম টানা যাচ্ছে না জাতিহিংসায়।

হাওকিপের এই মন্তব্যে নতুন করে তরজা শুরু হয়েছে জাতীয় রাজনীতিতে। বিরোধী দল নয় বরং নিজের দলের নেতানেত্রীদের মন্তব্যই এবার অস্বস্তি বাড়াচ্ছে বীরেন সিংহের। হাওকিপ ওই সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন,'সরকার বিষয়টির সঙ্গে যুক্ত তার সবচেয়ে বড় প্রমাণ হল জাতিগত এবং সম্প্রদায়গত হিংসা দিয়ে যে ঘটনার সূত্রপাত, তাকে মাদক চোরাচালানকারীদের বিরুদ্ধে সরকারের যুদ্ধ বলে ব্যাখ্যা করলেন মুখ্যমন্ত্রী।' সরকার চাইলে এই হিংসায় রাশ টানতে পারত বলেও দাবি করেছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিংহের বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগও তুলেছেন তিনি। তাঁর কথায়,'একটি পক্ষপাতদুষ্ট সরকার যে কোনও জায়গাতেই শান্তিপ্রতিষ্ঠার পক্ষে প্রধান অন্তরায়।' উল্লেখ্য মণিপুর সরকারের বিরোধিতা করলেও হিংসা দমাতে প্রধানমন্ত্রী মোদীর উপর ভরসা রাখতে চান হাওকিপ।