- Home
- West Bengal
- West Bengal News
- লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মত মাসে মাসে পুরুষদেরও ভাতা দেবে রাজ্য সরকার! নতুন প্রকল্পের বিজ্ঞপ্তি জারি নবান্নের
লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মত মাসে মাসে পুরুষদেরও ভাতা দেবে রাজ্য সরকার! নতুন প্রকল্পের বিজ্ঞপ্তি জারি নবান্নের
২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার সমাজের প্রতিটি স্তরকে সন্তুষ্ট করার প্রচেষ্টায় ব্যস্ত। এই অবস্থায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মত মাসে মাসে পুরুষদেরও ভাতা দেবে রাজ্য সরকার! নতুন প্রকল্পের বিজ্ঞপ্তি জারি নবান্নের

লক্ষ্মীর ভান্ডার ভোটবাক্সে সাফল্য দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসকে। বিজেপিকে বাংলায় হোয়াইট ওয়াশ করার পিছনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সবথেকে বেশি সাহায্য করেছে এই প্রকল্প।
আগে এই প্রকল্পের আওতায় প্ৰতি মাসে পাঁচশো টাকা করে ভাতা পেতেন বাংলার মহিলারা। পরে তা বাড়ানো হয়।
ইতিমধ্যেই বর্ধিত ভাতা মহিলাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেও ঢুকেছে। আগে যেখানে রাজ্যের সাধারণ শ্রেণীর মহিলারা প্রতি মাসে ৫০০ টাকা পেতেন, সেই জায়গায় এখন তারা প্রতি মাসে পান ১ হাজার টাকা।
অন্যদিকে আগে যে সকল তপশিলি জাতি ও উপজাতি শ্রেণীর মহিলারা প্রতিমাসে পেতেন ১ হাজার টাকা, সেই জায়গায় এখন তারা পান ১২০০ টাকা।
২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারকে সামনে রেখে চালিয়েছিল তৃণমূল। বহু জায়গায় এই প্রকল্প নিয়ে বলতে শোনা গিয়েছে রাজ্যের শাসক দলের নেতা-নেত্রীদের।
এবার এল নয়া আপডেট! লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মত মাসে মাসে পুরুষদেরও ভাতা দেবে রাজ্য সরকার!
নতুন প্রকল্পের বিজ্ঞপ্তি জারি নবান্নের
এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হল, যেসব যুবক এখনো কর্মসংস্থানের সুযোগ পাননি বা কোনো রকম সরকারি বা বেসরকারি চাকরিতে নিযুক্ত নন, তাদের জন্য মাসিক আর্থিক সহায়তা প্রদান করা।
সরকারের অভ্যন্তরীণ সূত্রে ইঙ্গিত মিলেছে, প্রতিমাসে প্রতি আবেদনকারীকে ১,০০০ থেকে ১,৫০০ টাকা পর্যন্ত ভাতা দেওয়া হতে পারে, যা সরাসরি উপভোক্তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাঠানো হবে।
যদিও এখনো পর্যন্ত প্রকল্পের নাম এবং চূড়ান্ত গাইডলাইন প্রকাশিত হয়নি, তবে সরকারের তরফে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, এই ভাতা শুধুমাত্র পুরুষদের জন্য প্রযোজ্য হবে যারা রাজ্যের স্থায়ী বাসিন্দা এবং বর্তমানে বেকার। অর্থাৎ যাদের সরকারি বা বেসরকারি চাকরি নেই, বা যারা নিয়মিত আয় করেন না – তারাই মূলত এই প্রকল্পের জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।
অনুমান করা হচ্ছে, বয়সের একটি সীমা নির্ধারণ করা হতে পারে – যেমন ১৮ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে পুরুষরাই এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন। একই সঙ্গে আবেদনকারীর নাম ব্যাংক অ্যাকাউন্টে থাকা বাধ্যতামূলক করা হবে, যাতে সরাসরি সেই অ্যাকাউন্টেই ভাতা পাঠানো যায়।
সরকারের ভাবনা অনুযায়ী, অনলাইনে অথবা সরকারি ক্যাম্পের মাধ্যমে আবেদন নেওয়া হতে পারে। প্রাথমিকভাবে ডিজিটাল মাধ্যমে আবেদন করতে গেলে আবেদনকারীকে নিজের নাম, ঠিকানা, আধার কার্ড, ব্যাংক অ্যাকাউন্টের বিবরণ, শিক্ষাগত যোগ্যতা ও বেকারত্ব সংক্রান্ত ডিক্লারেশন জমা দিতে হতে পারে। এই প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা বজায় রাখতে আধার ও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট লিঙ্ক করাই একান্ত আবশ্যক করা হতে পারে।

