- Home
- West Bengal
- West Bengal News
- আপনার এলাকায় কোথায়-কখন হবে মক ড্রিল? বাংলার কোন কোন জায়গায় হবে যুদ্ধ পরিস্থিতির মহড়া? জানুন
আপনার এলাকায় কোথায়-কখন হবে মক ড্রিল? বাংলার কোন কোন জায়গায় হবে যুদ্ধ পরিস্থিতির মহড়া? জানুন
আজ দেশজুড়ে যুদ্ধ পরিস্থিতির মহড়া দেওয়া হবে। বাংলার ১৭টি জেলায় এই মহড়া বা মক ড্রিল হবে। কখন কোথায় কোথায় চলবে যুদ্ধ পরিস্থিতির মহড়া? আপনার এলাকায় কখন হবে মক ড্রিল? জেনে নিন বিস্তারিত।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশ অনুযায়ী, আজ দেশের ২৪৪টি জেলায় একই সময়ে হবে মক ড্রিল।
পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা-সহ ১৭টি জেলার ৩১টি জায়গায় হবে মক ড্রিল ।
এর জন্য এ, বি ও সি – তিনটি ক্যাটাগরি তৈরি করা হয়েছে। বিকেল চারটের সময় এই মহড়া হবে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।
কোথায় কোথায় হবে মহড়া ?
কোচবিহার, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, মালদা, শিলিগুড়ি, গ্রেটার কলকাতা, দুর্গাপুর, হলদিয়া, হাসিমারা, খড়গপুর, বার্নপুর-আসানসোল, ফারাক্কা-খেঁজুরিহাট, চিত্তরঞ্জন, বালুরঘাট, আলিপুরদুয়ার, রায়গঞ্জ, ইসলামপুর, দিনহাটা, মেখলিগঞ্জ, কালিম্পং, জলঢাকা, কার্শিয়াং, কোলাঘাট, বর্ধমান, বীরভূম, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি ও মুর্শিদাবাদে হবে মহড়া ।
যদিও, দেশের মধ্যে রাজস্থান, গুজরাত, জম্মু-কাশ্মীর প্রভৃতি রাজ্যে মক ড্রিলের উপর বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে।
এই রাজ্যগুলিতে ১০০টি জেলাকে স্পর্শকাতর হিসাবে চিহ্নিতও করা হয়েছে। ৫৪ বছর পর যুদ্ধ প্রস্তুতির দেশজুড়ে এমন মহড়া লক্ষ্য করা যাবে।
মহড়ায় কী কী করা হবে ?
এক কথায় মক ড্রিল বা মহড়া হল অনুশীলন । সেনাবাহিনী থেকে শুরু করে পুলিশ, গোয়েন্দা বিভাগ, দমকল বিভাগ প্রভৃতি জরুরি বিভাগে প্রায় সময় এই মক ড্রিল হবে ৷ অর্থাৎ, যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে, আপৎকালীন পরিস্থিতে কীভাবে মোকাবিলা করতে হবে, কীভাবে সামাল দিতে হবে, তারই চূড়ান্ত পর্যায়ের প্রস্তুতি হবে।
সাইরেন বাজলে সেই সময় কী করতে হবে, ব্ল্যাক আউট হলে কী করতে হবে, সেসবেরই অনুশীলন হবে ৷ একেবারে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি বা পরিবেশ তৈরি করেই হবে মক ড্রিল বা মহড়া ।
কেন্দ্র-রাজ্য বৈঠক
এই পরিস্থিতিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সঙ্গে মঙ্গলবার রাজ্য সরকারের বৈঠক হয়। সেখানে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়, বাংলাদেশ সীমান্ত ঘেরা রাজ্য বাংলা।
যুদ্ধ হলে যেকোনও সময় বড়সড় সংকট নেমে আসতে পারে রাজ্যের উপর। তাই রাজ্যকে কেন্দ্রের নির্দেশ, আজ থেকে সাতদিন নিজেদের সমস্ত ব্যবস্থাপনা গুছিয়ে নিতে হবে।
রাজ্যের এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, এই মকড্রিলের সঙ্গে সরাসরি সাধারণ মানুষের কোনও যোগ নেই। বরং এর সঙ্গে অনেক বেশি জড়িত বিভিন্ন ব্যবস্থা যেমন অ্যাম্বুল্যান্স, অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা, উদ্ধার কাজ, হাসপাতালের বেড ইত্যাদি। সবকিছু কতটা সচল আছে ৷ সবটাই ঝালিয়ে নেওয়ার জন্যই এই ব্যবস্থা ।
১২. প্রশাসন সূত্রে খবর, এই মুহূর্তে রাজ্যে বিভিন্ন প্রান্তে জেলা ধরে ধরে একাধিক সাইরেন রয়েছে। শুধু শহর কলকাতায় সাইরেন রয়েছে ৯৫টি।

