সংক্ষিপ্ত

যাদের চাকরি গেল তারা কি ভোটের ডিউটি করতে পারবেন?

শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মী মিলিয়ে মোট ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের নিয়োগ বাতিল করে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। তবে আদালতের রায় বড়রকমের চিন্তায় ফেলে দিয়েছে নির্বাচন কমিশনকে। কারণ এই বিপুল সংখ্যক কর্মীদের অধিকাংশেরই ভোটের ডিউটি পড়েছিল। তবে কি তাঁরা ভোটে ডিউটি করতে রাজি হবেন?

হাইকোর্টের নির্দেশে যাঁদের চাকরি গেল, তাঁরা কি ভোটের ডিউটি করতে রাজি হবেন? এবং তাঁরা যদি ভোটের ডিউটি করতে রাজি না হন, তাহলে শেষ মুহূর্তে ভোটের ডিউটি করতে কাদের পাঠানো হবে?

কমিশনের কর্মকর্তাদের এটাও প্রশ্ন যে যাঁদের চাকরি বাতিল হল, তাঁদের কমিশন কোন যুক্তিতে ভোটের ডিউটি করতে বলবেন? তাঁরা তো আর সরকারি কর্মচারীই নন।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যাবে রাজ্য সরকার। সুপ্রিম কোর্ট যদি হাইকোর্টের রায়ের উপর স্থগিতাদেশ দেয় তা হলে প্রায় ২৬ হাজার জনের আপাতত চাকরি থাকবে। সুপ্রিম কোর্ট মামলার শুনানি করতে দেরি করলে বিষয়টি ঝুলে থাকতে পারে। অথচ চিন্তার ব্যাপার হল, রাজ্যে দ্বিতীয় দফার ভোট হল ২৬ এপ্রিল থেকে। এর মধ্যে সুপ্রিম কোনও নির্দেশ না দিলে কমিশন বিপাকে পড়তে পারে

এই বিষয়ে রাজ্য মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরের অ্যাডিশনাল সিইও অরিন্দম নিয়োগী জানান, ''আমাদের ভোটকর্মীদের বেশ কিছুটা অংশ শিক্ষক-শিক্ষিকারা আছেন বটে, কিন্তু ভোট কর্মীদের ২০-২৫% রিজার্ভ থাকে। ফলে তা দিয়ে আমরা ভোট করাতে পারব।'' আরও জানান, ''রিজার্ভ ফোর্সে থাকা ভোটকর্মীদের ডিসি অফিসে রিপোর্ট করার চিঠি চলে গিয়েছে। তাঁরা ডিসি অফিসে চলে যাবেন। ভোটের ডিউটি বন্টনের দিন যাঁরা অনুপস্থিত থাকবেন, তাঁদের রিজার্ভ ভোট কর্মী দিয়ে রিপ্লেস করা হবে।''