সংক্ষিপ্ত
শনিবার নওশাদ সিদ্দিকির বিধানসভা এলাকা ভাঙড়ের উত্তর কাশীপুরে চিনেপুকুর থানা এলাকায় রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই নিজেকে নওশাদ সিদ্দিকির স্ত্রী বলে দাবি করেন মহিলা।
'আমি নওশাদ সিদ্দিকির স্ত্রী।' অনেকটা এমনই দাবি করলেন এক মহিলা। ভাঙড়ের রক্তদান শিবিরের ভরা মঞ্চে এই ঘটনা। মহিলা জানিয়েছেন তাঁর নাম মৃন্ময়ী সিদ্দিকি। মহিলার পাশে দাঁড়িয়ে বিচার চেয়েছেন পূর্ব ক্যানিং-এর বিধায়ক তথা ভাঙড়ের পর্যবেক্ষক শওকত মোল্লা। যদিও নওশাদ সিদ্দিকির দল আইএলএফ এই ঘটনার পিছনে চক্রান্ত দেখছে।
শনিবার নওশাদ সিদ্দিকির বিধানসভা এলাকা ভাঙড়ের উত্তর কাশীপুরে চিনেপুকুর থানা এলাকায় রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল। উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা। সেখানেই তিনি উপস্থিত জনতার সামনে নিজেকে নওশাদ সিদ্দিকির স্ত্রী হিসেবে দাবি করেন। তিনি বলেন, 'ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি আমার স্ত্রী। আমার কোনও অভিসন্ধি নেই। আমাকে স্ত্রীর মর্যাদ দাও। আমি বিভিন্ন সমাজিক কাজের সঙ্গে যুক্ত।' মৃন্ময়ী সিদ্দিকির দাবি তাঁর সঙ্গে নওশাদ সিদ্দিকির শরিয়ত মতে বিয়ে হয়েছে। রেজিস্ট্রি করে বিয়ে হয়নি। তিনি আরও বলেন, 'আমি মুসলিম বাড়ির মেয়ে। আজ নিজের অধিকারের জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসেছি। ওঁর দলের ক্ষতি হচ্ছে বলে আমি কী নিজের অধিকারের কথা ভুলে যাব?' তিনি প্রশ্ন করেন দল আগে না একটা জীবন আগে। তারপরই জানান, 'আমি জীবনের কথাই আগে ভাবব।'
মৃন্ময়ী সিদ্দিকির পাশে দাঁড়িয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা শওকত মোল্লা। তিনি বলেন, ভাঙড়ের বিধায়ক মহিলাদের সম্মানের কথা বলেন। নানা কর্মসূচিতে নানা কথা ঘোষণা করেন। কিন্তু নওশাদ সিদ্দিকি নিজে এক মহিলাকে অসম্মান করছেন। তিনি আরও দাবি করেন মৃন্ময়ীর সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও যোগ নেই। মৃন্ময়ী নিজের সম্মানের জন্য লড়াই করছে, তাতেই তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থন করছে বলেও জানান তিনি।
যদিও নওশাদের এই বিয়ের বিষয়টি নিয়ে আদালতে মামলা চলছে এক বছর ধরে। এখনও ফয়সলা হয়নি। তবে এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত নওশাদ কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি। তিনি শুধু জানিয়েছেন, আইনই শেষ কথা বলবে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।