সংক্ষিপ্ত
ত্রাণ শিবিরে থাকা মানুষরা পুজোর আনন্দে সামিল হতে পারেননি। তাই বিজয়া দশমীর দিন তাঁদের মুখে হাসি ফোটাতে খানকুলের একটি ত্রাণ শিবিরে গিয়ে হাজির হন শুভেন্দু। সেখানে বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটান তিনি।
বাংলার আকাশে একের পর এক দুর্যোগ লেগেই ছিল। পিছু ছাড়ছিল না নিম্নচাপ। তার জেরে ভারী বৃষ্টি হয় দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায়। জলমগ্ন হয়ে পড়ে একাধিক এলাকা। এরপর আবার ডিভিসি জল ছাড়ায় বেড়ে যায় নদীর জলস্তর। সেই জলও প্রবেশ করে লোকালয়ে। তার জেরে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় দক্ষিণবঙ্গের একাধিক এলাকায়। তার মধ্যে হুগলির আরামবাগ ও খানাকুলও রয়েছে। বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হওয়ার পর ভিটে-মাটি ছেড়ে ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নেন বহু মানুষ। এছাড়া ভিটে-মাটি হারিয়েও অনেকে আশ্রয় নেন ত্রাণ শিবিরে। বিজয়া দশমীর দিন খানাকুলের একটি ত্রাণ শিবিরে যান বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁদের সঙ্গে সময় কাটান তিনি।
ত্রাণ শিবিরে থাকা মানুষরা পুজোর আনন্দে সামিল হতে পারেননি। তাই বিজয়া দশমীর দিন তাঁদের মুখে হাসি ফোটাতে খানকুলের একটি ত্রাণ শিবিরে গিয়ে হাজির হন শুভেন্দু। সেখানে বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটান তিনি। বন্যা দুর্গতদের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁদের হাতে নতুন পোশাক ও অন্য উপহার তুলে দেন তিনি। পাশাপাশি তাঁদের সঙ্গে বসে মধ্যাহ্নভোজ করতেও দেখা যায় তাঁকে। টুইটারে সেই মুহূর্তের ছবি তুলে ধরেছেন শুভেন্দু। বিজয়া দশমীর মতো একটা বিশেষ দিনে এইসব মানুষের পাশে দাঁড়াতে পেরে খুবই খুশি তিনি। লেখেন, "উদযাপনগুলি সত্যিই বিশেষ হয়ে ওঠে যখন এটি বিশেষ ব্যক্তিদের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া হয়।"
উল্লেখ্য, বন্যা পরিস্থিতির মধ্যে আরামবাগে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথমে আকাশপথে ওই জেলার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন তিনি। তারপরই আরামবাগ পরিদর্শনে যান। সেখানে বন্যা দুর্গতদের সঙ্গে কথাও বলতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। তবে এই পরিস্থিতির জন্য ডিভিসিকে দায়ি করেন তিনি। পাশাপাশি এই পরিস্থিতিকে 'ম্যান মেড ফ্লাড' বলেও উল্লেখ করেছিলেন। আজ খানাকুলে গিয়ে এর জন্য মমতাকে নিশানা করেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী আকাশপথে উড়ে গিয়েছেন। খানাকুলে পা দেননি। বলছেন ডিভিসি দায়ি। ডিভিসি না হয় জল ছেড়েছে। কিন্তু, ডিভিসি তো বাঁধ তৈরি করেনি। সেটা তো তৃণমূল সরকারের। বাঁধ যদি শক্ত থাকত তাহলে জল উপচে যেত। তখন আমরা দল বেঁধে দুর্গাপুরে ডিভিসি অফিসে পৌঁছে যেতাম। কিন্তু, বাঁধ তো শক্ত ছিল না। সেটা কার কল্যাণে তৈরি করা হয়েছে?"
ত্রাণ শিবির থেকেই একের পর এক তৃণমূল সরকারকে আক্রমণ করেন শুভেন্দু। এই এলাকা মুখ্যমন্ত্রীর আকাশপথে পরিদর্শন করা নিয়েও কটাক্ষ করতে দেখা যায় তাঁকে। পাশাপাশি শীতের সময় এই অসহায় মানুষদের কম্বল দিয়েও সাহায্য করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। এছাড়া বিজেপির মেডিকেল সেল শিবির করবে বলেও জানিয়েছেন। তাদের তরফে প্রয়োজনীয় জিনিস তুলে দেওয়া হবে বন্যা দুর্গতদের হাতে।