সংক্ষিপ্ত

  • বিয়ের পর পেরিয়ে গিয়েছে তিনবছর
  • গৃহবধূর কোলে সন্তান এল কই!
  • নৃশংসভাবে খুন হয়ে গেলেন তিনি
  • শ্বশুরবাড়ি থেকে উদ্ধার হল ঝুলন্ত দেহ

দাম্পত্যে পূর্ণতা আনে সন্তান। কিন্তু কোনও দম্পতি যদি নিঃসন্তান হন, তাহলে তার দায় শুধুই স্ত্রীর! শ্বশুরবাড়িতে অত্যাচার চলত পুরোদমে, কিন্তু আত্মীয় কষ্ট পাবে ভেবে শেষের দিকে বাপের বাড়ি আর কিছুই জানাতেন না বছর বাইশের এক গৃহবধূ। শেষপর্যন্ত নৃশংসভাবে খুন হয়ে গেলেন তিনি। শ্বশুরবাড়ি থেকেই উদ্ধার হল দেহ। স্বামী ও তাঁর পরিবারের লোকেরা বেপাত্তা। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগণার ঢোলাহাট থানার দক্ষিণ রায়পুরে।

আরও পড়ুন: বাড়িওয়ালা-ভাড়াটিয়া গণ্ডগোলের জের, শান্তিনিকেতনে আক্রান্ত বিশ্বভারতীর ছাত্রী

স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃতার নাম জামিলা বিবি। তাঁর বাপের বাড়ি, ঢোলাহাট থানার শঙ্করপুরে। বছর তিনেক আগে একই থানা এলাকার দক্ষিণ রায়পুরের নয় নম্বর ঘেরী এলাকার বাসিন্দা রহমতুল্লা শেখের সঙ্গে বিয়ে হয় ওই তরুণীর। প্রতিবেশীদের দাবি, বিয়ের বছর ঘুরতে না ঘুরতেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্য়ে অশান্তি শুরু হয়ে যায়। এমনকী, সামান্য বিষয় নিয়েও জামিলার উপর রীতিমতো মানসিক অত্যাচার করত শ্বশুরবাড়ি লোকেরা। চলত মারধরও! প্রথমে বেশ কয়েকবার সমস্য়ার কথা বাপের বাড়িতে জানিয়েছিলেন ওই গৃহবধূ। দুই পরিবারের সদস্যরা আলোচনায় বসেছিলেন, কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয়নি। উল্টে বিয়ের তিন বছর পরেও সন্তান না হওয়ায় জামিলার উপর অত্যাচারের মাত্রা আরও বেড়ে যায়।

আরও পড়ুন: সোমবার শীতের আমেজ রাজ্য জুড়ে, এক ধাক্কায় পারদ নামল অনেকটাই

জানা গিয়েছে, রবিবার সকালে শ্বশুরবাড়িতে জামিলা বিবি ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান এক প্রতিবেশী। তিনিই ফোন করে খবর দেন বাপের বাড়িতে। তাঁদের দাবি, মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে দেখে জামিলার দেহ মেঝে-তে শোওয়ানো। স্বামী বা পরিবারের অন্যকেউ তখন সেখানে ছিল না। মৃতার বাপের বাড়ির লোকেদের অভিযোগে ভিত্তিতে তদন্তে শুরু করেছে পুলিশ।