সংক্ষিপ্ত

  • গভীর রাতে আচমকা নামল ধস
  • মাটির নিচে চলে গেল আস্ত একটি বাড়ি
  • এক মহিলার খোঁজ নেই
  • ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম বর্ধমানের অন্ডালে

দীপিকা সরকার, দুর্গাপুর: গভীর রাতে আচমকা ধসে ঘটল বিপর্যয়। খনিগর্ভে চলে গেল আস্ত একটি বাড়ি, খোঁজ নেই এক মহিলারও। ইসিএল-র ভূমিকায় ক্ষুদ্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা। সরকারি আধিকারিকদের ঘিরে চলল বিক্ষোভ। ঘটনাস্থল, পশ্চিম বর্ধমানের অন্ডালের জামবাদ এলাকা।

আরও পড়ুন: অনলাইনে ক্লাস করতে না পারায় মানসিক অবসাদ, আত্মঘাতী দশম শ্রেণির ছাত্রী

জানা গিয়েছে, অন্ডালের জামবাদ এলাকায় ইসিএলের পরিত্যক্ত আবাসনে থাকে বেশ কয়েকটি পরিবার। বহুবার বলা সত্ত্বেও তাঁদের পুনর্বাসনের কোনও ব্যবস্থা করা হয়নি বসে অভিযোগ। শুক্রবার রাত দুটো নাগাদ আচমকাই ধস নামে এলাকায়। চোখের নিমেষে মাটির নিচে চাপা পড়েন সাহাবাদ বানো নামে এক মহিলা। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, স্বামী, দুই মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে ইসিএলের পরিত্যক্ত কোয়ার্টারে থাকতেন তিনি। বিপদ বুঝে পরিবারের অন্যরা বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছিলেন। 

প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, প্রায় এক হাজার বর্গফুটেরও বেশি এলাকা জুড়ে ধস নেমেছে। গভীরতা, প্রায় ৫০ থেকে ৬০ ফুট। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১৫টিরও বেশি বাড়ি। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে পুলিশ ও দমকল। তবে এখনও পর্যন্ত যা খবর, নিখোঁজ মহিলার সন্ধান পাওয়া যায়নি। ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কিত এলাকার মানুষ। ইসিএল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন তাঁরা।  বিক্ষোভ দেখান ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দারা। 

আরও পড়ুন: গৃহস্থের গোয়ালঘরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, ঝলসে মারা গেল চারটি গরু

এদিকে খবর পেয়ে অন্ডালের জামবাদে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারি। তিনিও বলেন, 'ইসিএল শুধু কয়লা উত্তোলনের কথা ভাবে। সাধারণ মানুষের প্রতি তাদের কোনও দায়বদ্ধতা নেই। গত ২ বছর ধরে পুনর্বাসনের কথা বললেও এখনও মেলেনি কোনও ঘর। মানুষ মরে গেলেও তাদের কোনও চিন্তা নেই।' শুধু তাই নয়, খোদ বিধায়কে নেতৃত্বে এলাকায় পথ অবরোধও করেন বিক্ষোভকারীরা।