সংক্ষিপ্ত

  • এনআরসি নিয়ে আতঙ্ক দক্ষিণ দিনাজপুরে
  • রেশন কার্ড করানোর লাইনে দাঁড়িয়ে মৃত যুবক
  • এনআরসি নিয়ে ভয় থেকেই মৃত্যু, অভিযোগ পরিবারের

এনআরসি আতঙ্ক যেন ফিরিয়ে আনছে নোটবাতিলের স্মৃতি। নোটবাতিলের সময়ও এটিএম এবং ব্যাঙ্কের বাইরে লম্বা লাইনে অপেক্ষা করতে করতে বহু মানুষের মৃত্যুর ঘটনা সামনে এসেছিল। এবার এনআরসি নিয়েও একই আতঙ্ক গ্রাস করেছে রাজ্যবাসীকে। এবার প্রবল ভিড়ের মধ্যে ডিজিটাল রেশন কার্ড করাতে  গিয়ে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। 

মৃতের পরিবারের অভিযোগ, ডিজিটাল রেশন কার্ড করাতে না পারলে এনআরসি-তে নাম থাকবে না, গত কয়েকদিন ধরেই এই আতঙ্কে ভুগছিলেন জলঘর এলাকার বাসিন্দা মন্টু সরকার (৫২) নামে ওই ব্যক্তি। বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবারও সকাল সাতটা নাগাদ এসে বালুরঘাট বিডিও অফিসে লাইন দেন মন্টুবাবু। বেলা এগারোটা নাগাদ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। 

আরও পড়ুন- হয়রানির জন্য অভিযোগ দায়ের, এনআরসি-র আশঙ্কায় আত্মঘাতী যুবক

বিভিন্ন জেলায় রেশন কার্ড সংশোধন এবং ডিজিটাল রেশন তৈরির কাজ চলছে। চলতি সপ্তাহেই মালদহের কালিয়াচকে এই কাজ চলার সময় এনআরসি নিয়ে গুজব রটে যায়। ডিজিটাল রেশন কার্ড করাতে না পারলে এনআরসি-তে নাম থাকবে না, এই আশঙ্কায় কার্ড করতে ভিড় জমান কয়েকহাজার মানুষ। পরিস্থিতি সামলাতে মাইকে প্রচার করে পুলিশ প্রশাসন। জানানো হয়, এনআরসি-র সঙ্গে ডিজিটাল রেশন কার্ডের কোনও সম্পর্ক নেই। বালুরঘাটেও সেই একই উদ্বেগে ভিড় উপচে পড়ছে বিডিও অফিসে। প্রবল গরমে দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। 

এ দিনই জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়িতে একইভাবে এনআরসি আতঙ্কে মৃত্যুর অভিযোগ সামনে এসেছে। পূর্ব পুরুষের নথি বা দলিল জোগাড় করতে না পারার অবসাদে অন্নদা রায় নামে এক যুবক আত্মঘাতী হন বলে অভিযোগ। পরিবারের দাবি, ওই সমস্ত নথি দেখাতে না পারলে এনআরসি-তে নাম থাকবে না, এই আশঙ্কাতেই ভুগছিলেন অন্নদা।