চাপের মুখে পড়ে মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যান সুবোধ। সেখানে তিনি টিকা নেন। যদিও তাঁর দাবি টিকা নিয়েও অনেক মানুষ করোনার কবলে পড়ছেন তাই তিনি ভরসা করতে পারেন না।
রবিবার দৈনিক সংক্রমিতের সংখ্যা ছিল ২৪ হাজার ২৮৭। সোমবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৯ হাজার ২৮৬ জন।
টলিউডে একের পর এক সেলেব করোনায় আক্রান্ত, এবার করোনায় আক্রান্ত হয়ে রীতিমত রেগে আগুন শ্রীলেখা মিত্র। কীবললেন নেট পাড়ায়।
শুধুমাত্র পুরুলিয়া পৌরসভা এলাকাতেই ১০ই জানুয়ারি পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৩৬৫জন। আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে আসানসোল শিল্পাঞ্চল ঘেঁষা নেতুড়িয়া ব্লক।
দেশে ক্রমবর্ধমান কোভিড সংক্রমণ এবং পরিস্থিতি মোকাবিলা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রবিবার বিকেল সাড়ে ৪টা নাগাদ একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বসছেন বলে খবর। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য আধিকারিকদের পাশাপাশি এই বৈঠকে অন্যান্য মন্ত্রকের আধিকারিকেরা থাকবেন বলে জানা যাচ্ছে।
দেশের ৭২১টি জেলাকে পিছনে ফেলে শুধু কলকাতায় পজিটিভিটি রেট পৌঁছে গিয়েছে ৫৫ শতাংশে। প্রতি দু'জনের মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন একজন করে। আর তা নিয়ে চিন্তার ভাঁজ পড়ছে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের কপালে।
কোভিড সংক্রমণ এবার কলকাতা পুলিশ তথা রাজ্য পুলিশেও, আক্রান্ত হয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী অফিসারেরাও। যার জেরে ইতিমধ্যেই কলকাতা সহ একাধিক থানার সামনে গার্ড রেল টেনে দেওয়া হয়েছে।
করোনার দাপটে বন্ধ হয়ে গেল পার্ক স্ট্রিটে ম্যাগমা হাউসের স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার শাখা। সেই শাখার ৪৬ জন ব্যাঙ্ককর্মীর মধ্যে ৩৫ জনই সংক্রমিত। পাশাপাশি শেক্সপিয়র সরণিতে অবস্থিত স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার আরও একটি শাখার বেশিরভাগ কর্মীই আক্রান্ত হয়েছেন। যদিও সেই শাখা এখনও পর্যন্ত বন্ধ করা হয়নি।
রাজ্যে লাফিয়ে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। ৯ থেকে একলাফে ১৪ হাজারের গণ্ডি পার করে গিয়েছে সংক্রমণ। বুধবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, রেকর্ড লাফে রাজ্যের দৈনিক করোনা সংক্রমণ ১৪ হাজারের গণ্ডি পেরিয়ে গিয়েছে।
সব মিলিয়ে যে মুখ পুড়িয়েছে পঞ্জাব সরকার, তা মানছেন সবাই। এখন ড্যামেজ কন্ট্রোল করে যে বিশেষ লাভ হবে না, তাও বোঝা যাচ্ছে।