মঙ্গলবার দৈনিক সংক্রমিতের সংখ্যা ছিল ৯ হাজার ৭৩। বুধবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৪ হাজার ২২ জন। তার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৬ হাজার ১৭০ জন।
মঙ্গলবার দিল্লিতে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন ৫ হাজার ৪৮১ জন। এমনকী, করোনায় আক্রান্ত দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালও। তাঁর শরীরে করোনার মৃদু উপসর্গ রয়েছে। এই মুহূর্তে বাড়িতেই নিভৃতবাসে রয়েছেন তিনি।
কলকাতার পাশাপাশি রাজ্যের বাকি জেলাগুলিতেও হু হু করে বাড়তে শুরু করেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এমতাবস্থায় এক লাফে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতে করোনা আক্রান্ত বেড়ে গেল অনেকটাই৷ রবিবার রাত পর্যন্ত দৈনিক করোনা আক্রান্ত ছিল ১৫ জন৷ সোমবার রাতে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৩।
লালগোলার বুকে টানা কয়েকদিন ব্যাপী স্থানীয় এম এন একাডেমী হাইস্কুল মাঠ চত্বরে ৮ম বইমেলার সূচনা করা হয়। শহরের বুকে এমন পরিস্থিতিতে এইভাবে টানা সান্ধ্যকালীন বইমেলার সূচনাকে ঘিরে রীতিমতো দ্বিধা-বিভক্ত স্থানীয় মানুষজন।
টুইটাকে কেজরিওয়াল লিখেছেন, "আমার করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। মৃদু উপসর্গ রয়েছে। বাড়িতেই নিভৃতবাসে রয়েছি। যাঁরা আমার সংস্পর্শে এসেছিলেন তাঁদের কাছে অনুরোধ, আপনারাও করোনা পরীক্ষা করিয়ে নিন। নিভৃতবাসে থাকুন।"
রবিবার দৈনিক সংক্রমিতের সংখ্যা ছিল ৬ হাজার ১৫৩। গত ২৪ ঘণ্টাতেও সংক্রমিতের সংখ্যা ৬ হাজারের উপরেই রয়েছে। তবে রবিবারের তুলনায় সংক্রমণ সামান্য কমেছে। সোমবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬ হাজার ৭৮ জন।
শনিবার দৈনিক সংক্রমিতের সংখ্যা ছিল ৪ হাজার ৫১২। গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিতের সংখ্যা ৬ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। রবিবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬ হাজার ১৫৩ জন।
সুকান্ত মজুমদার বলেন অনেক দেরি করে ফেলেছে নবান্ন। আরও আগে এই নিয়ে ভাবতে হত রাজ্যকে। সন্ধ্যে সাতটার পর লোকাল ট্রেন বন্ধ হলে অফিস কর্মীরা কি করে ফিরবেন তা মাথায় রাখতে হত সরকারকে।
টিকাকরণের জন্য ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে নাম নথিভুক্তিকরণ প্রক্রিয়া। কো-উইন ও আরোগ্য সেতু অ্যাপ থেকে নাম রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। ১ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে সেই প্রক্রিয়া।
শুক্রবার দৈনিক সংক্রমিতের সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৪৫১। গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিতের সংখ্যা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। শনিবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৫১২ জন।