Dilip Ghosh News -

সোমবার নিউটাউনে এসে বরাবরের মতোই রাজ্যের শাসকদলের শীর্ষ নের্তৃত্বকে নিশান করলেন দিলীপ ঘোষ,অভিষেক থেকে মদন, কল্যাণ- কে নেই তাঁর তোপের লিস্টিতে। ঠোটের আগায় প্রশ্নের ধারালো উত্তর নিয়ে শীতের সকালে উষ্মা ছড়ালেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

রবিবার রাত নটার পর এই ব্যানার দেখা গিয়েছে মেদিনীপুর শহরের গান্ধী মোড় এলাকায়। যেখানে গেরুয়া রঙের এই ব্যানারে দিলীপ ঘোষের ছবি দিয়ে মেদিনীপুর খড়গপুর পৌর এলাকায় সাংসদের উন্নয়ন করার টাকা কোথায় কীভাবে আটকে রয়েছে তার হিসেব দেওয়া হয়।

ভোট পিছানো নিয়ে অভিষেকের ‘ব্যক্তিগত মতামত’ নিয়ে কয়েকদিন আগেই তোপ দেগে কল্যাণকে বলতে শোনা যায়, “এই পদে থেকে কারও কোনও ব্যক্তিগত মত থাকতে পারে না। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক পদটি সর্বক্ষণের।”

'কোনও নিদিষ্ট তারিখ করা উচিত নয়', ১২ ফেব্রুয়ারি পুরভোট নিয়ে কমিশনের ঘোষনার পরেই তোপ দিলীপের। এদিকে রবিবার প্রতিদিনের মতোই নিউটাউন ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে এসে অভিষেক-কল্যাণ ইস্যুতেও খোঁচা দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

কল্যাণ-অপরূপা তরজায় বিজেপির কোন লাভ লোকসান নেই। এদিন চন্দননগরে দলীয় প্রার্থীদের প্রচারে এসে এই কথাই জানালেন বিজেপি-র সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

রাজ্য তথা দেশের বিভিন্ন স্তরের ব্যক্তিদের এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে, ঘটনাস্থলে তড়িঘড়ি পৌঁছে গিছিলেন এদিন রাজ্য বিজেপি-র সহ-সভাপতি তথা রেলের যাত্রী সুরক্ষা এবং স্বাচ্ছন্দ্য কমিটির সদস্য রথীন্দ্রনাথ বসু, শোকপ্রকাশ করেন দিলীপ ঘোষ।

বৃহস্পতিবার সকালে বিধাননগর পুরভোটের দুই বিজেপি প্রার্থীর প্রচারে যান দিলীপ ঘোষ। মুখে গেরুয়া মাস্ক পরিহিত দিলীপকে ঘিরে কর্মী সমর্থকদের ভিড় লক্ষ্য করা যায়। যদিও বিজেপি নেতার দাবি, তাঁরা করোনা বিধি মেনে পাঁচজনকে নিয়ে প্রচারে বেরোন।

রাজ্য কোভিড পরিস্থিতির মাঝেই দোরগড়ায় পুরভোট। বিজেপি করার কারণে মারধরের অভিযোগের ইস্যুতে এদিন তৃণমূলকে তোপ দাগলেন দিলীপ ঘোষ।

করোনা পরিস্থিতির মধ্যে রাজ্যের বকেয়া পুরভোট করানো নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, "এখানে তৃণমূল সব বন্ধ রাখলেও ভোট বন্ধ করছে না। কিন্তু কেন? ক্ষমতা তাদের হাতেই। তবুও এই ফাঁকে ভোট করতে চাইছে। পুরভোটের প্রচার করা যাচ্ছে না। প্রচারে বাড়িতে গেলে দরজা খুলছে না। অনেকে প্রচারে অংশ নিচ্ছে না। কাকে নিয়ে ভোট হবে।"

কমিশনের এই নির্দেশিকা নিয়েই বর্তমানে জোরদার চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। তবে সিংহভাগ রাজনৈতিক দলই কমিশনের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে।