২০১৯-এর পঞ্চায়েত নির্বাচনের বেপরোয়া সন্ত্রাস এখনও ভোলেনি রাজ্যের মানুষ। তারপর অনেক টালবাহানার পর রাজ্যে ফের পঞ্চায়েত নির্বাচন। কিন্তু, এবারও নির্বাচনী সন্ত্রাসে যে ছবি ধরা পড়ছে তাতে আরও বেশি করে আস্থা হারাল পুলিশ প্রশাসন।
শাসকদল মনোনয়নপত্র জমা দিতে দিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন শুভেন্দু অধিকারী এবং সুকান্ত মজুমদার। মঙ্গলবার যাবতীয় নথিপত্র-সহ ৫ জন প্রার্থীকে নিয়ে কমিশনে অভিযোগ জানাতে যান সুকান্ত মজুমদার।
মনোনয়ন জমাকে কেন্দ্র করে রাজ্যের একের পর এক জেলায় তুমুল অশান্তির ঘটনায় ইতিমধ্যেই উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। গত দু'দিন ধরে তুমুল উত্তেজনা দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে।
আইএসএফ-সহ মনোনয়ন জমা দিতে আসা বিরোধী প্রার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে পুলিশের ভূমিকায়। তাঁদের দাবি এলাকায় দেখাই যাচ্ছে না পুলিশকে। এমকী পুলিশের সামনেই বাঁশ নিয়ে প্রার্থীদের তাড়া করারও অভিযোগ উঠেছে।
কোনও রকমের ধোঁয়াশা যাতে না থাকে তাঁর জন্য মনোনয়ন চলাকালীনই এই নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
আইএসএফ-এর মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে শুরু হয় বচসা। এরপরই বোমাবাজির অভিযোগ ওঠে ঘটনাস্থলে।
মুর্শিদাবাদের খড়গ্রাম, ডোমকলের ঘটনার পর থেকেই উত্তেজনা রাজ্যরাজনীতিতে। এই পরিস্থিতিতে পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার হল আরও এক তৃণমূল নেতা।
আদালতের সিদ্ধান্তে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন বিরোধী দলনেতা।
মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে অশান্তি সিপিএম এবং তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে। ঘটনাটি ঘটে বর্ধমান জেলার বড়শুলে।
কমিশনের পেশ করা রিপোর্ট দেখে ও সওয়াল জবাবের পর নির্বাচন পিছোনোর প্রস্তাব দেয় আদালত। পাশাপাশি মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময়সীমা বৃদ্ধির কথাও বলেন প্রধান বিচারপতি।