জিয়াগঞ্জ পুরসভাকে পাখির চোখ করে ঝাঁপিয়ে পড়তে দেখা যাচ্ছে গেরুয়া শিবিরের কর্মকর্তাদের। এদিকে রাজনৈতিক 'খেলা' জয়ে চ্যালেঞ্জ দিতে শুরু করেছে তৃণমূলও।
গত কয়েকদিন ধরেই তৃণমূলের প্রার্থী তালিকাকে ঘিরে নানা জল্পনা চলছিল। আর বৃহস্পতিবার বিধাননগর পৌরনিগমের নির্বাচনের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হতেই যাবতীয় জল্পনার অবসান হয়ে গিয়েছে। তালিকা প্রকাশ হতেই দেখা গেল ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী করা হয়েছে সব্যসাচী দত্তকে।
আসানসোলের ১০৬টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৭৮ টি ওয়ার্ডের প্রার্থী তালিকা সামনে নিয়ে এলেন জেলা বামফ্রন্ট নেতৃত্ব। অ্ন্যদিকে রাজ্যে একমাত্র শিলিগুড়ি পুরনিগম ছিল বামেদের দখলের। কিন্তু সেখানেও হল না জোট।
আসন্ন পুরভোটে একদিকে যেমন সত্তরোর্ধ্ব অশোককে মুখ করে লড়াইয়ের ময়দানে ঝাঁপিয়েছে বামেরা ঠিক উলটোদিকে তরুণ-তুর্কীতেও আস্থা রাখা হয়েছে লাল শিবিরের তরফে।
ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশের পর এখনও পর্যন্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়নি। কিন্তু, তার আগেই দলকে জেতাতে কোনও রকম ত্রুটি রাখতে চাইছেন না কর্মীরা। শিলিগুড়ির ১৫নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থীর নাম ফাঁকা রেখে দেওয়াল লিখন শুরু করে দিয়েছে বিজেপি।
চারটি পুর-নিগমের নির্বাচনের জন্য প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করে দিল ঘাসফুল শিবির। তা নিয়েই বর্তমানে জোর চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলের অন্দরে।
শিলিগুড়ি পুরনিগমের ৩৩টি ওয়ার্ড আসনে জোট করে লড়াইয়ে নামছে দুই পক্ষ। জানা গিয়েছে ২০১৫ সালের পুরভোটে জয় পাওয়া ওয়ার্ডগুলি এবারও সংশ্লিষ্ট দলের হাতেই থাকবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
আগামী ২২ জানুয়ারি রাজ্যের বাকি চার পুরনিগমে ভোট হলেও হাওড়া পুরনিগমে কবে ভোট হবে তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। হাওড়া নিয়ে রাজ্য সরকার অবস্থান স্পষ্ট করেনি বলেই হাওড়া পুরনিগম নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাস।
খড়গপুর শহরের ২৫ নম্বর ওয়ার্ড তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ডিএমএস কলেজ এলাকায় লোকের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে হাতে বড়দিনের কেক তুলে দিয়ে প্রচার সারল ঘাসফুল শিবির। এই অভিনব প্রচার নিয়ে বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় পড়ে গিয়েছে সাড়া।
রাজ্যের বকেয়া পুরভোট নিয়েই আলোচনা করতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে ফের ডেকে পাঠান রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। এরপরেই রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাস।