কলকাতার পৌরভোটে পুলিশের ভূমিকায় খুশি নয় বিরোধীরা। কলকাতা পুরনির্বাচনের নামে প্রহসন চলছে সেই অভিযোগ তুলে আধা সামরিক বাহিনী দিয়ে কলকাতা পৌরসভা নির্বাচনের পুনর্নির্বাচনের দাবিতে রবিবার দুপুরে রাস্তা অবরোধ করে বিজেপি।
তবে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভোট দিতে না এলেও, ভোট দেন তাঁর স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্য ও মেয়ে সুচেতনা। সব সময় পরিবারের সঙ্গেই ভোট দিতে আসতে দেখা যেত বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে।
রাজ্যপালের নিরাপত্তায় জেড প্লাস শ্রেণিতে নেই। সেই কারণেই তাঁকে নিরাপত্তারক্ষী বুথের বাইরে রেখেই ভোট দিতে হয়েছে। আমাদের রাজ্যে বর্তমানে অভিষেক ও মমতারই শুধুমাত্র এই উচ্চমাত্রার নিরাপত্তা বেষ্টনী রয়েছে।
সকাল থেকেই শুরু হয়ে গেছে কলকাতা পুরসভার ভোট। আর পুরভোটের সকাল থেকেই জায়গায় জায়গায় উত্তপ্ত পরিস্থিতি। এবার ভোট দিয়ে বেরিয়ে সেই নিয়েই মুখ খুললেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
কলকাতা পুরসভার ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডে জৈন বিদ্যালয়ে ভুয়ো ভোটারদের দিয়ে ভোট করানোর অভিযোগ তুলেছেন কংগ্রেস প্রার্থী সন্তোষ পাঠক। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় ব্রাবোর্ন রোডে।
কংগ্রেস শাসকদের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ তুললেও তৃণমূলের অভিযোগ সন্তোষ পাঠকের লোকজনই ওই এলাকায় উত্তেজনা ছড়ানোর চেষ্টা করছেন। গায়ের জোরে ভোট করানোর চেষ্টা করছে। এদিকে ইতিমধ্যেই এলাকায় পৌঁছে গিয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী।
বেলা গড়াতেই বোমার আওয়াজে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। তবে কারা এই কাজ করেছে সেই বিষয়ে দিশাহীন পুলিশ। কংগ্রেসের অভিযোগ শাসক দল তৃণমূলের মদতপুষ্ট দুষ্কৃতিরাই এই কাজ করেছে। এমনকী কংগ্রেস কর্মী সমর্থকদের মারধরের অভিযোগও তোলা হয়েছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
সকাল দশটা নাগাদ খান্না হাই স্কুলের সামনে বোমাবাজি হয়। পর পর দুটি বোমা পড়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে এলাকাবাসীদের মধ্যে। আতঙ্কিত রয়েছেন ভোটাররা।
মানিকতলায় ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে জে এন রায় হাসপাতালে বিরিয়ানি খাইয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। যা নিয়েও বর্তমানে জোর চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। তৃণমূলের স্পষ্ট অভিযোগ বিরিয়ানীর প্রলোভন দেখিয়ে ভোটারদের টানার চেষ্টা করছে বিজেপি।
মীনাদেবী পুরোহিতের অভিযোগ, এখানে তৃণমূল বহিরাগতদের নিয়ে এসে বুথ দখলের চেষ্টা করছে। বুথে ঢুকতে গেলে তাঁকে বাধা দেওয়া হয়। হেনস্থা করা হয়। যদিও তৃণমূল প্রার্থীর দাবি, বিজেপি প্রার্থী এখানে এসে অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করেন।