ত্রিবেণী ঘাটের এক কিলোমিটারের মধ্যে দুটি প্রধান রাস্তার সংযোগস্থলের পাশেই জঙ্গলাকীর্ণ স্থানে রয়েছে এই ডাকাত কালীর মন্দির। বাসুদেবপুরের দুই কুখ্যাত ডাকাত রঘু ডাকাত আর বুধো ডাকাতের আরাধ্যা দক্ষিণা কালী মন্দিরটি গম্বুজাকার, এক চূড়াবিশিষ্ট, এবং সামনে বিশাল চাতাল রয়েছে।
পুরাণ খ্যাত মহাপীঠ মুর্শিদাবাদের কিরীটেশ্বরীর টানে অমাবস্যার রাতে কালীপুজোয় দূর-দূরান্ত থেকে আসেন ভক্তরা। মুর্শিদাবাদের কোনায় কোনায় জড়িয়ে রয়েছে অজানা ইতিহাসের সম্ভার, সেই সম্ভারের অন্যতম হলো দেবীর ৫১ পীঠের কিরীটেশ্বরী।
মন্দিরেই থাকে সাদা-কালো নাগ-নাগিনী এবং একটি অজগর। রহস্যে মোড়া হরিদ্বারের দক্ষিণ কালী মন্দিরের (Haridwar Siddhpeeth Shri Dakshin Kali Mandir) মহিমাই আলাদা।
প্রতিটি বাঙালি বাড়িতেই ১৪ প্রদীপ জ্বালিয়ে ১৪ শাক খাওয়ার রীতি প্রচলিত ছিল। এই দিনে ১৪ পুরুষের উদ্দেশ্যে প্রদীপ জ্বালানো হত। মনে করা হত এদিনে তাঁদের আত্মা নেমে আসে।
এলাকার আন্দি, মহিশগ্রাম, বড়কাপসা, বিছুর, দেবগ্রাম ও কল্যাণপুর গ্রামগুলিতে কিছু প্রাচীন পুজো রয়েছে। যেগুলি ঘিরে প্রতিবছরই ভক্তদের মধ্যে চরম উন্মাদনা দেখা যায়। পরবর্তীতে গ্রামগুলিতে নতুন পুরনো মিলিয়ে প্রায় ২৫০টি পুজো হয়ে থাকে।
দেবীর আদেশে এই মন্দিরে কোনও ছাদ বা আচ্ছাদন কিছুই নেই। চারিদিক দেওয়াল দিয়ে ঘেরা রয়েছে। আর খোলা আকাশের নিচেই পরম জাগ্রত দেবীনগর কালীবাড়ির দেবী পূজিতা হন বেদীতেই।
কালীঘাটের সেবক হালদারদের সংবাদ পাঠালেন মহারাজা, তারাপীঠের বামাক্ষ্যাপাকে নিয়ে তিনি যাচ্ছেন কালীঘাটে। মহারাজ সেবাইতদের নির্দেশ দিলেন একঘণ্টা যেন মন্দিরে কোনও যাত্রী প্রবেশ করতে না পারে। আর সে ব্যবস্থার জন্য সেবাইতদের অনেক টাকাও দিলেন মহারাজ।
মন্দির নেই, নেই মা কালীর কোনও মূর্তি। পাহাড় জঙ্গল ঘেরা খোলা আকাশের নিচের শিলাকেই কালীরূপে পুজো দেন ভক্তরা। প্রাচীন কাল থেকে এভাবেই পাহাড়ি কালীপুজো হয়ে আসছে পুরুলিয়ার ঝালদায়।
চলতি বছরের ৪ নভেম্বর কালীপুজো। প্রতিমা নিরঞ্জন প্রসঙ্গে নবান্নের তরফে নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, ৫, ৬ ও ৭ নভেম্বর প্রতিমা নিরঞ্জন করা হবে। রবিবারের মধ্যেই রাজ্যের সব প্রতিমা নিরঞ্জন করতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষে অমাবস্যা তিথিতে মা কালী পুজিত হন। ইতিমধ্যেই ঘরে ঘরে শুরু হয়ে গিয়েছে সেই পুজোর প্রস্তুতি। গত বছর করোনার জন্য আনন্দে ভাটা পড়লেও এবার সকলে প্রস্তুতি। জেনে নিন পুজোর সময়।