Prashant Kishor News -

কলকাতায় রাজ্য তৃণমূল রাজ্য কমিটির সমাবেশ মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন প্রশান্ত কিশোর। অনুষ্ঠানে তিনি সুব্রত বক্সির পাশে বসে ছিলেন। এই অনুষ্ঠানে পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়, ফিরহাদ হাকিম, অরূপ রায়সহ রাজ্যের প্রথম সারির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

সুনীল কানুগোলু প্রশান্ত কিশোরার দীর্ঘ দিনের সহযোগী। ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যে ব্লকব্লাস্টার প্রচার চালিয়েছিলেন তারই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন তিনি। সেই সময়ই প্রসান্ত কিশোরের দলের অন্যতম কর্মকর্তা ছিলেন তিনি।

গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ব্যক্তি পিকে এবং আইপ্যাকের সঙ্গে তৃণমূলের ফাটল তৈরি হওয়ার খবর ছড়িয়েছে। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় সম্পর্কে এবার মুখ খুললেন প্রশান্ত কিশোর।

সাংবাদিক সম্মেলনে কিরণ কান্দোলকার স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছিলেন তৃণমূলের গোয়া ইউনিটের প্রধানের পদ থেকে তিনি এখনই পদত্যাগ করছেন না। তিনি আরও বলেন তবে প্রশান্ত কিশোর ও আই-প্যাকের ওপর যে তিনি বিরক্ত তা স্পষ্ট করে দেন।

নাম না করেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে নানা সময় নান তির ছুঁড়েছেন শ্রীরামপুরের এই সাংসদ। অবশ্য দলের মধ্যে দ্বন্দ্বের আগুনের ছোট শিখা দাবানলে পরিণত হওয়ার আগেই হাল ধরে নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আসলে তৃণমূলে ‘‌এক ব্যক্তি এক পদ’‌ নীতি চালু হয়েছে। এই নীতি যাতে দলের মধ্যে পুরোদমে চালু হয়, তার জন্য সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর অভিষেকের পাশে দাঁড়িয়েছেন তাঁর পরিবারের অন্য সদস্যরা।

২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে বেশ ভালো ফল করেছিল বিজেপি। আসলে বাংলায় যেখানে বিজেপির অস্তিত্বই ঠিক মতো ছিল না সেখানে তাদের এই ফল দেখে রীতিমতো চমকে গিয়েছিল রাজনৈতিক মহলের একাংশ। এরপরই একুশের বিধানসভা ভোটের আগে রাজ্যে ডাক পড়ে প্রশান্ত কিশোরের।

শুক্রবার সকালেই দেখা গিয়েছিল আইপ্যাক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফলো করা বন্ধ করে দিয়েছে। অর্থাৎ তৃণমূল নেত্রীকে আনফলো করেছে প্রশান্তের সংস্থা।

সম্প্রতি পুরসভা নির্বাচনে দলের প্রার্থী তালিকা নিয়ে প্রকাশ্যে আসে বিবাদ। শুক্রবার সন্ধ্যায় তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও দলের সভাপতি সুব্রত বক্সির স্বাক্ষরিত একটি প্রার্থী তালিকা তৃণমূলের অফিসিয়াল সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করা হয়েছে।

প্রশান্ত কিশোর আরও জানিয়েছেন, বাংলার নির্বাচনের প্রায় পাঁচ মাস পর থেকে তিনি কংগ্রেসের সঙ্গে জোট নিয়ে আলোচনা করেছিলেন। কিন্তু সেটি ভেস্তে গেছে। তবে বিজেপিকে হারাতে এখনও জাতীয় স্তরে কংগ্রেসের যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে বলেও স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি। সেই সময় তিনি কংগ্রেসের সঙ্গে দীর্ঘ সময় কাটিয়েছিলেন।