সন্দেশখালিতে আন্দোলন শুরু হয়েছিল মূলত মহিলাদের উপর অত্যাচার, অসম্মানের অভিযোগ নিয়ে। শনিবার লোকসভা নির্বাচনে সপ্তম দফার ভোটগ্রহণের দিনেও মহিলাদের অসম্মানের অভিযোগ উঠল।
কলকাতা হাইকোর্ট শুক্রবার বলেছিল অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। সেই নির্দেশ কার্যকর করে এদিন মুক্তি দেওয়া হয় সন্দেশখালির বিজেপি নেত্রী মাম্পি দাস ওরফে পিয়ালিকেও।
সম্প্রতি একের পর এক মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য সরকার ও শাসক দল। এবার সন্দেশখালিতে বিজেপি নেত্রী মাম্পি দাসের গ্রেফতারি নিয়েও ভর্ৎসনার মুখে পড়ল রাজ্য সরকার।
সন্দেশখালি ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে পুলিশ সূত্রের খবর নির্যাতিত মহিলার এফআইআরএ নাম রয়েছে স্থানীয় তৃণমূল নেতা দিলীপ মল্লিক, তাঁর ছায়াসঙ্গী সৈতক দাস-সহ পাঁচ জনের।
সন্দেশখালিতে স্টিং অপারেশন নিয়ে যখন বিজেপি-র বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস, তখন শাসক দলকে পাল্টা আক্রমণ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
এবারের লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে অন্যতম বড় ইস্যু হয়ে উঠেছে সন্দেশখালির মহিলাদের উপর অত্যাচারের অভিযোগ। বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে চাপানউতোর চলছে।
মুখ্য নির্বাচন কমিশন রাজীব কুমারকে একটি চিঠি লিখেছেন জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রধান রেখা শর্মা। তাঁর অভিযোগ, ভয় দেখিয়ে নির্যাতিতাদের অভিযোগ প্রত্যাহার করতে বাধ্য করা হয়েছে।
সন্দেশখালির ঘটনা সাজানো। মিথ্যা অভিযোগ করতে বাধ্য করা হয়েছিল। দাবি করেছেন এক মহিলা। মামলা তুলে নেওয়ার কথাও বলেন।
গঙ্গাধর কয়াল বলেছেন, ভিডিওয়ে যা শোনাযাচ্ছে তা তিনি বলেননি। তাঁর কণ্ঠস্বর নয়। গোটা ঘটনায় তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের চক্রান্ত বলেও দাবি করেছেন।
সন্দেশখালিতে যা হয়েছে তা সবটাই সাজানো? রাজ্যের শাসক দলের পক্ষ থেকে যা দাবি করা হয়েছে সেটাই ঠিক? স্থানীয় এক বিজেপি নেতার দাবি ঘিরে নতুন করে শুরু হয়েছে বিতর্ক।