বৃহস্পতিবার পর্যন্ত পশ্চিম মেদিনীপুরে ১৭১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে ৷ অতি বৃষ্টির ফলে ঘাটালে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে ৷ দু'দিন ধরেই ঘাটালে থাকা শিলাবতী, ঝুমি নদী ও কেঠিয়া খালের জলস্তর বাড়তে শুরু করেছিল। এর ফলে সেই জল জনবসতির মধ্যে প্রবেশ করতে শুরু করে।
প্রবল বৃষ্টির কারণে কোথাও হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল বাড়ি কোথাও ব্রিজ। বিচ্ছিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থা।
শনিবার বন্যা দুর্গতদের কাছে যাচ্ছেন মমতা। ফের ম্যান মেড বন্যা বলে অভিযোগ তুললেন এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়।
বাঁকুড়ার পর নদীর জলের তোড়ে বন্যা পরিস্থিতি এবার পূর্ব বর্ধমানে। অজয় নদের বাঁধ ভাঙায় ইতিমধ্যেই কাটোয়া মহকুমার- কেতুগ্রাম, মঙ্গলকোটের ৫০ থেকে ৬০টি গ্রাম প্লাবিত।
অসমের এই বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্ব শর্মার সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। টুইট করে সেকথা জানিয়েছেন মোদী নিজেই।
টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন একাধিক এলাকা। জলস্ফীতির কারণে নদীর জলও প্রবেশ করেছে গ্রামের মধ্যে। আর সেই কারণেই বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়। রাস্তাঘাট জলের তলায় চলে যাওয়ায় দুয়ারে সরকারের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছিলেন এলাকার বাসিন্দারা। এবার এই অভিনব পদ্ধতিতে সেইসব এলাকার মানুষের কাছে সরকারি পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া হল।
ঘাটালে বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনের নামে কি আসলে জলে দাঁড়িয়ে ফটোশ্যুট করলেন মমতা? প্রশ্ন উঠল সোশ্যাল মিডিয়ায়।
ঘাটালে বন্যা পরিদর্শনে গিয়ে দুর্গতদের হাতে আর্থিক সাহায্য তুলে দেন মমতা। ত্রাণ সামগ্রী বিলি করে জলের মধ্যে দাঁড়িয়ে জেলাশাসক রেশমি কমল, পুলিশ সুপার দিনেশ কুমার, সাংসদ দেব ও বিধায়কের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
টানা বৃষ্টির ফলে একাধিক ড্যাম থেকে জল ছাড়া হয়েছে। বৃষ্টির ফলে জল বেড়েছে নদীগুলিতেও। সেই জল ঢুকেছে ঘাটালের একাধিক গ্রামে। জলের তলায় ডুবে গিয়েছে অধিকাংশ গ্রাম। ঘাটাল পুরসভার অন্তর্গত ১৭ টি ওয়ার্ডে জমেছে জল।
টানা বৃষ্টিতে মুর্শিদাবাদের লালবাগ মহাকুমার অন্তর্গত গ্রামের বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়ে পড়ে। তার ফলে আচমকা ভিটেমাটি হারিয়ে চরম দূর্ভোগে পড়ে যান কয়েক হাজার গ্রামবাসী।