মঙ্গলবার দুপুরে নেটমাধ্যমে ভাইরাল একটি ভিডিয়োয় এমনই দৃশ্য দেখা যায়। ঘটনা ঘিরে শোরগোল পড়ে যায় বিভিন্ন মহলে। পুলিশের অভিযোগ আক্রমণকারীরা বিজেপির কর্মী-সমর্থক।

তাঁর পরনের হালকা গেরুয়া পাঞ্জাবিতে কাদামাখা। চোখ-মুখ বিধ্বস্ত। বৃষ্টি আর জলকামানের জলে ভিজে একসা চেহারার ছবি উঠে এল সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরায়। হাওড়া ব্রিজের কাছে মিছিলেই অসুস্থ হয়ে পড়েন স্বপন দাশগুপ্ত। 

সকাল থেকেই উত্তেজনার পর বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ জানিয়ে দিলেন নবান্ন অভিযান শেষ হয়েছে। দুপুর ২টো বেজে ৪০ মিনিটে তিনি এই ঘোষণা করেন। কিন্তু তার আগেই রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছিল, সাঁতরাগাছি, হাওড়া স্টেশন, হাওড়া ময়দান, পিটিএস। বাদ যায়নি লালবাজার চত্ত্বরও। পুলিশের জলকামান , কাঁদানে গ্যাসের পাল্টা বিজেপির কর্মীদের আন্দোলন - বিক্ষোভ।

ইতিমধ্যে মিছিল ঘিরে উত্তপ্ত সাঁতরগাছি। দ্বিতীয় হুগলি সেতুর কাছ থেকে আটক করা হয় শুভেন্দু অধিকারী, লকেট চট্টোপাধ্যায় ও রাহুল সিনহাকে। অশান্তির আঁচ কলকাতা ছাড়িয়ে পৌঁছেছে জেলা পর্যন্ত। নবান্ন অভিযানে পুলিশি বাধার প্রতিবাদে পূর্ব মেদিনীপুর জেলাজুড়ে পথ অবরোধ বিজেপির। 

সাঁতগাছি যাওযার আগে পিটিএসে রাজ্য পুলিশ আটকে দিল বিজেপির বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী , বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় ও রাহুল সিনহাকে। যানি বিজেপির দুই নেতৃত্ব তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। বিজেপির নবান্ন অভিযানে  শান্তি শৃঙ্খলা বাজায় রাখতে রীতিমত কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে কলকাতা পুলিশ ও রাজ্য পুলিশ। 

 ১৩ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার এই মামলার শুনানি ছিল কলকাতা হাই কোর্টে। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ ৬ টি শর্ত সাপেক্ষে পুজো অনুদানে সায় দেওয়া হয়। 
 

 সকাল বেলাই জেলা থেকে আসা দলীয় কর্মীদের মলোবল চাঙ্গা করতে হাওড়া স্টেশনে পৌঁছে যান বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদার। এদিন তিনি হাওড়ায় গিয়ে  সরাসরি নিশানা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে

মঙ্গলবার 'নবান্ন অভিযান' কর্মসূচি রয়েছে বিজেপির। তার আগে হাওড়া কমিশনারেটের কাছে অনুমোদন চাওয়া হলে তা দেওয়া হয় না। তবে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার স্পষ্টই জানিয়ে দেন অনুমতি না পেলেও কর্মসূচি বাতিল করা হবে না। 

“নবান্ন অভিযানকে গণ আন্দোলনের রূপ দিতে হবে। বিরাট সংখ্যায় জমায়েত করতে হবে”, বার্তা দলের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক সুনীল বনসলের। 

দীর্ঘদিন পর দলে কোনও বড় মাপের সমাবেশ হতে চলেছে। এই সমাবেশে শুধু দক্ষিণবঙ্গ নয় গুরুত্ব দেওইয়া হচ্ছে উত্তরবঙ্গের কর্মীদেরও। তবে  উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিনবঙ্গে কর্মীদের নিয়ে আসতে যান কোনও অপ্রিতীকর ঘটনা না ঘটে সে বিষয় বিশেষ খেয়াল রাখার নির্দেশ দেওয়া হয় কেন্দ্র বিজেপির তরফ থেকে।