সংক্ষিপ্ত
তাঁর পরনের হালকা গেরুয়া পাঞ্জাবিতে কাদামাখা। চোখ-মুখ বিধ্বস্ত। বৃষ্টি আর জলকামানের জলে ভিজে একসা চেহারার ছবি উঠে এল সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরায়। হাওড়া ব্রিজের কাছে মিছিলেই অসুস্থ হয়ে পড়েন স্বপন দাশগুপ্ত।
একদিকে টানা বৃষ্টি, অন্যদিকে জলকামানের তীব্র ধাক্কা। সব মিলিয়ে হাওড়া ময়দানে বিজেপির নবান্ন অভিযান ঘিরে সরগরম হয়ে ওঠে গোটা কলকাতা। এরই মধ্যে খবর আসে, পুলিশের লাঠিচার্জের মুখে পড়েছেন বিজেপি নেতা স্বপন দাশগুপ্ত। হাওড়া ও কলকাতা মিলে বিজেপির নবান্ন অভিযান ঘিরে সরগরম পরিস্থিতি তৈরি হয়। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে হাওড়া ব্রিজের কাছে জখম হন সদ্য রাজ্যসভার সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দেওয়া প্রবীণ বিজেপি নেতা স্বপন দাশগুপ্ত।
তাঁর পরনের হালকা গেরুয়া পাঞ্জাবিতে কাদামাখা। চোখ-মুখ বিধ্বস্ত। বৃষ্টি আর জলকামানের জলে ভিজে একসা চেহারার ছবি উঠে এল সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরায়। হাওড়া ব্রিজের কাছে মিছিলেই অসুস্থ হয়ে পড়েন স্বপন দাশগুপ্ত। হাওড়া ময়দানে বিজেপি-র মিছিল ঘিরে ধুন্ধুমার কান্ড ঘটে। ব্যারিকেড ভেঙে এগোনোর চেষ্টা করেন বিজেপি-র কর্মীরা। মিছিলের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সঙ্গে ছিলেন অগ্নিমিত্রা পল, স্বপন দাশগুপ্তরা। জল কামানে কাঁধে চোট পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন সুকান্ত। পুলিশের লাঠি পেটা থেকে বাঁচেননি স্বপন দাশগুপ্ত। দলীয় কর্মীর চেষ্টায় কোনওমতে রেহাই পান তিনি। এই ঘটনার নিন্দা করেন স্বপন দাশগুপ্ত। সমালোচনা করেন সুকান্ত মজুমদারও।
এদিকে, লালবাজারে একটি পুলিশের গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। একাধিক বিজেপি কর্মী আহত হন, আহত হন বিজেপি কাউন্সিলর মীনা দেবী পুরোহিত, স্বপন দাশগুপ্ত। আহত হন একাধিক পুলিশ কর্মীও। পুলিশের গাড়িতে আগুন লাগানোর ঘটনায় পালটা অভিযোগ ওঠে পুলিশেরই বিরুদ্ধে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের অভিযোগ, পুলিশ নিজেরাই নিজেদের গাড়িতে আগুন লাগিয়েছে।
আরও পড়ুন- ৯ বার যৌন সম্পর্কের পরেও বিয়েতে নারাজ প্রেমিক, স্ত্রীর মর্যাদা পেতে ধর্নায় প্রেমিকা
হাওড়া ব্রিজের মুখে রাস্তা খুঁড়ে ব্যারিকেড করে পুলিশ। হাওড়া ব্রিজ সকাল থেকে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। পায়ে যাতায়াতের রাস্তা খোলা রাখা হয়েছিল, তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ফুটপাতও বন্ধ করে দেয়। হাওড়া থেকে মিছিলকে কলকাতা ঢুকতে না দিতে এই ব্যবস্থা করে পুলিশ। পুলিশের ভূমিকার কড়া সমালোচনা করেছে বিজেপি। পুলিশ ও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে বিজেপি। গোটা ঘটনার কড়া নিন্দা রাজু বিস্তা, জন বার্লা ও দেবশ্রী চৌধুরীর। সারা দিন কলকাতার নানা এলাকা সাক্ষী থাকল বিজেপি পুলিশ খন্ডযুদ্ধের।
আরও পড়ুন- জল কামান-কাঁদানে গ্যাসে অসুস্থ বিজেপি কর্মীরা, ২টো ৪০-এ নবান্ন অভিযান শেষ বলে জানালেন দিলীপ ঘোষ
সাঁতরাগাছিতে ধুন্ধুমার, পুলিশ ও বিজেপি কর্মীদের সংঘর্ষ বাঁধে। উন্মত্ত জনতার হাতে ছিল ইট-মার্বেলের টুকরো, বাঁশ। উন্মত্ত জনতা রীতিমত তাড়া করে পুলিশকে। উন্মত্ত জনতার হাত থেকে বাঁচতে সাঁতরাগাছি স্টেশনে আশ্রয় নেয় পুলিশের দলটি। স্টেশনের বাইরে এলেই উন্মত্ত বিজেপি কর্মীদের আক্রমণের মুখে পড়তে হয় বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যারাকপুর থেকে অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী নিয়ে আসা হয়।
আরও পড়ুন- বিজেপির নবান্ন অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার, পুলিশের গাড়িতে আগুন- দেখুন সেরা ১৫টি ছবি