গত শনিবার রাতে ফুসফুস এবং শ্বাসনালিতে গুরুতর সংক্রমণ হওয়ায় আলিপুরের বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে। সেই রাতেই তৎক্ষনাৎ ইনভেসিভ ভেন্টিলেশনে দেওয়া হয় তাঁকে।
বাম নেতাকে নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করলেন তৃণমূলের সোশ্যাল মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক দেবাংশু ভট্টাচার্য। ইতিমধ্যেই দেবাংশুর পোস্ট ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে বিভিন্ন মহলে।
মেডিক্যাল বোর্ডের এক চিকিৎসক জানিয়েছেন, সংক্রমণের মাত্রা বেশ খানিকটা কমলেও সংক্রমণমুক্ত নন তিনি। এখনও বাইব্যাপ সাপোর্ট পুরো সরিয়ে নেওয়া যায়নি।
বুধবার বেলা সাড়ে ১২টায় ফের বসবে মেডিক্যাল বোর্ড। প্রয়োজনে ফুসফুস বিশেষজ্ঞ ধীমান গঙ্গোপাধ্যায়ের পরামর্শ নেওয়ার ভাবনাও রয়েছে। সোমবারের মত মঙ্গলবারও বুদ্ধেদেব ভট্টাচার্যকে রাইলস টিউব দিয়ে খাবার খাওয়ানো হচ্ছে।
হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা থাকায় হিমোগ্লোবিনে মাত্রা স্বাভাবিক রাখা জরুরি। দেওয়া হচ্ছে রক্ত।
বুকে ফ্লুইড বা জল জমার সঙ্কট অনেকটাই কমে গিয়েছে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। যদিও এখনও তাঁর বাঁদিকের ফুসফুসের নীচের অংশ ও ডানদিকের ফুসফুসের নীচের দিকের মাঝামাঝি অংশে সংক্রমণ রয়েছে।
হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, উনি হাত নেড়েছেন। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের জ্ঞান রয়েছে। আমার দেখে মনে হল এখন অনেকটাই সুস্থ হয়েছেন।
হাসপাতাল সূত্রের খবর রক্তে অক্সিজেন ও শ্বাসকষ্টের সমস্যা যাতে না হয় তার জন্যই বাইপ্যাপ সাপোর্টে রাখা হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রের খবর, বুদ্ধবাবুর পরিবারের সম্মতিতেই এই ইনভেসিভ ভেন্টিলেশন থেকে বার করে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ
সোমবার সকালে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর রিপোর্ট দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন চিকিৎসকরা। আজই দুপুর ১২টা নাগাদ বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে বসেন চিকিৎসকরা।
ইতিমধ্যেই হাসপাতালে তাঁকে দেখতে গিয়েছেন রাজ্যপাল থেকে বিরোধীরাও। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি সহ বিভিন্ন দলের নেতারা গিয়েছিলেন তাঁর সঙ্গে দেখা করতে।