সংক্ষিপ্ত
হাসপাতাল সূত্রের খবর রক্তে অক্সিজেন ও শ্বাসকষ্টের সমস্যা যাতে না হয় তার জন্যই বাইপ্যাপ সাপোর্টে রাখা হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রের খবর, বুদ্ধবাবুর পরিবারের সম্মতিতেই এই ইনভেসিভ ভেন্টিলেশন থেকে বার করে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ
কিছুটা হলেও স্বাস্থ্যের উন্নতি হচ্ছে প্রক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর। সোমবার তাঁকে ইনভেসিভ ভেন্টিনেশব থেকে বের করে আনা হল। হাসপাতাল সূত্রের খবর রিপোর্ট অনুকূল দেখেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। এবার তাঁকে বাইপ্যাপ সাপোর্টে রাখা হবে। হাসপাতাল সূত্রের খবর, ধীরে ধীরে তাঁর স্বাস্থ্যের উম্নতি হচ্ছে। দুপুর ২টো নাগাদ এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। বেলা ৩টো নাগাদ তাঁকে ভেন্টিলেশন থেকে বার করে আনা হয়। মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্যদের উপস্থিতিতেই বুদ্ধদেভ ভট্টাচার্যকে ভেন্টিলেশন থেকে বার করে আনা হয়েছে।
হাসপাতাল সূত্রের খবর রক্তে অক্সিজেন ও শ্বাসকষ্টের সমস্যা যাতে না হয় তার জন্যই বাইপ্যাপ সাপোর্টে রাখা হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রের খবর, বুদ্ধবাবুর পরিবারের সম্মতিতেই এই ইনভেসিভ ভেন্টিলেশন থেকে বার করে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতাল সূত্রের খবর, এদিন বুকের সিটিস্ক্যান করা হয় বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের। সংক্রমণের মাত্রার সূচক সিআরপি পরীক্ষাও করা হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে ফুসফুসে সংক্রমণ শনিবার যা ছিল তার অর্ধেক রয়েছে। অর্থাৎ চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন তিনি। তবে প্রয়োজনে আবারও বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে ভেন্টিলেশন সাপোর্টে আবার দেওয়া হতে পারে।
রবিবার মেডিক্যাল বুলেটিনে বলা হয়েছিল, তাঁর শারীরিক অবস্থা গুরুতর , তবে স্থিতিশীল রয়েছে। শ্বাসযন্ত্রের নিচের দিকে সংক্রমণ ও টাইপ টু রেসপিরেটারি ফেলিওর রয়েছে। হাসপাতাল সূত্রের খবর বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের ইকো কার্ডিওগ্রাম হয়েছে। তার রিপোর্টও যথেষ্ট সন্তোষজনক। ফুসফুসের অবস্থা খারাপ হলেও লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। শরীরে সুগারের মাত্র নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য ইনসুলিন দেওয়া হয়েছে। রাইলস টিউবে খাবার দেওয়া হয়েছে। খেতে এদিন কোনও সমস্যা হয়নি। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর চিকিৎসার জন্য একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। তাঁর চিকিৎসার দায়িত্বে রয়েছে কৌশিক চক্রবর্তী, সৌতিক পাণ্ডা, সুস্মিতা দেবনাথ, সরোজ মণ্ডল, ধ্রুব ভট্টাচার্য, আশিস পাত্রের মত বিশিষ্ট চিকিৎসকরা। তাঁর স্বাস্থ্যের সামগ্রিক পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছের বেসরাকরি হাসপাতালের দুই চিকিৎসক সপ্তর্ষি বসু ও সোমনাথ মাইতি।
শনিবার বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে রীতিমত সংকটজনক অবস্থায় গ্রিন করিডোর করে পাম অ্যাভেনিউ থেকে উডল্যান্ড হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেই সময় তাঁর রক্তে সংক্রমণের মাত্র ৯০ এর নিচে নেমে গিয়েছিল। শ্বাসকষ্টের প্রবল সমস্যা ছিল। শনিবার রাতেই তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। রবিবারও ভেন্টিলেশনে ছিলেন। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সিওপিডি সমস্যা রয়েছে। ২০২১ সালে তিনি করোনাভাইরাসেও আক্রান্ত হয়েছিলষ সেই সময় শারীরিক অবস্থান অবনতি হলে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। দীর্ঘ দিন ধরেই তিনি অসুস্থ ছিলেন। পাম অ্যাভিনিউর বাড়িতেই থাকতেন। দলের কর্মসূচিতেও সামিল হতে না তিনি। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সঙ্গে হাসপাতালে রয়েছেন তাঁর স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্য ও একমাত্র সন্তান সুচেতনা। এদিন দলের প্রথম সারিক নেতা বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্র, সুজন চক্রবর্তী, রবীন দেব হাসপাতালে ছিলেন। সূর্যকান্ত মিশ্র মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্যদের সঙ্গে কথাও বলেন।