করোনার জন্য বন্ধ স্কুল-কলেজ, ৫০ শতাংশ লোক নিয়ে চলছে অফিস। অধিকাংশ এখন ওয়ার্ক ফ্রম হোম (Work From Home) পন্থায় কাজ করছেন। কিন্তু, আপনি বাড়ি রয়েছেন বলে করোনা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা নেই এমন নয়। এই কয়টি উপসর্গ (Symptoms) দেখলে তৎক্ষণাত ডাক্তারি পরামর্শ নিন।
প্রতিদিন লাগাম ছাড়া ভাবে বাড়ছে করোনা (Corona) আক্রান্তের সংখ্যা। বুধবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণ ১৪ হাজারের গণ্ডি পার করেছে। রাজ্যে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৪ হাজার ২২ জন। শুধু কলকাতাতেই আক্রান্ত ৬ হাজার ১৭০ জন। করোনার সংক্রমণ কমাতে শুরু হয়ে গিয়েছে লকডাউন (Lockdown)। বিধি নিষেধ জারি হয়েছে অধিকাংশ ক্ষেত্রে। বহু জায়গা নির্দিষ্ট করা হয়েছে কনটেনমেন্ট জোন হিসেবে। এতেও যে করোনার প্রকোপ কমেছে তা নয়।
করোনার জন্য বন্ধ স্কুল-কলেজ, ৫০ শতাংশ লোক নিয়ে চলছে অফিস। অধিকাংশ এখন ওয়ার্ক ফ্রম হোম (Work From Home) পন্থায় কাজ করছেন। কিন্তু, আপনি বাড়ি রয়েছেন বলে করোনা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা নেই এমন নয়। বর্তমানে, অনেকেই জ্বর, সর্দি, কাশির সমস্যায় ভুগছে। এই সমস্যা সকলেই উপেক্ষা করে চলেছেন। শীতের জন্য এমন সমস্যা হচ্ছে ভেবে নিজে ডাক্তারি করছেন। সকলেই ভাবছেন, বাড়ি থেকে বের হচ্ছে না, ফলে করোনা হওয়ার সম্ভাবনা নেই। কিন্তু, প্রয়োজন সতর্কতা। বাড়িতে থেকেও করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন বহু মানুষ। সেক্ষেত্রে এই কয়টি উপসর্গ (Symptoms) দেখলে তৎক্ষণাত ডাক্তারি পরামর্শ নিন।
জ্বর, সর্দি, কাশি হল করোনা (Corona) রোগের প্রথম উপসর্গ। যদি দেখেন জ্বরের সময় তাপমাত্রা অধিক বেড়ে যাচ্ছে, কিংবা ক্রমাগত কাশি চলতেই থাকছে, তাহলে ডাক্তারি পরামর্শ নিন। এই লক্ষণগুলো দেখা দিলে আপনি করোনা আক্রান্ত হতে পারেন। সঠিক সময় চিকিৎসা শুরু করুন। তা না হলে, এই রোগ মারাত্মক আকার নিতে পারে।
জ্বর হলে দুর্বল (Weak) লাগা স্বাভাবিক। যদি দেখেন গায়ে অসহ্য যন্ত্রণা হচ্ছে অথবা গাঁটে গাঁটে ব্যথা হচ্ছে, তাহলে ফেলে রাখবেন না। এমনকি, সারাক্ষণ ক্লান্তি ভাব ও ঝিমুনি করোনার উপসর্গ। অনেকেই ভাবছেন দুটো ভ্যাকসিনের ডোজ নেওয়া আছে মানে করোনা হবে না, এমন নয়। ভ্যাকসিনের জন্য দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা (Immunity Power) তৈরি হয়েছে ঠিকই, কিন্তু তা সত্ত্বেও আবারও করোনা হতে পারে।
আরও পড়ুন: WB Covid Hospital: চোখ রাঙাচ্ছে ওমিক্রন, কতটা প্রস্তুত রাজ্যের হাসপাতাল
মাথা ব্যথা, গলা ব্যথা, নাক দিয়ে জল পড়া, ঘন ঘন হাঁচি হলে ডাক্তার দেখান। ওমিক্রন ও করোনা- দুই রোগের ক্ষেত্রেই এমন লক্ষণ দেখা যায়। এমনকী খাবারে স্বাদ (Test) না থাকা, বমি বমি (Vomiting) ভাব, খাবার অরুচি হলেও সতর্কতার প্রয়োজন। করোনা ভাইরাস শরীরে বাসা বাঁধলে দেখা দিতে পারে এমন লক্ষণ।