Cocktail Therapy: করোনা ঠেকাতে কতটা কাজে আসছে ককটেল থেরাপি, কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা

Published : Jan 05, 2022, 10:58 AM IST
Cocktail Therapy: করোনা ঠেকাতে কতটা কাজে আসছে ককটেল থেরাপি, কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা

সংক্ষিপ্ত

এই ককটেল আদপে আদপে একটি অ্যান্টিবডির মিশ্রণ। যা ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনের বিরুদ্ধে কাজ করে। ফলে রোগীর শরীরে ভাইরাসের প্রভাব কমে যায়। যদিও এর পক্ষে বিপক্ষেও রয়েছে নানা মতামত।

গোটা দেশজুড়েই ক্রমশ বেড়ে চলেছে করোনা উদ্বেগ। ইতিমধ্যেই তৃতীয় ঢেউ(Third Wave of Coronavirus) আছড়ে পড়েছে বাংলা বুকে। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সেলিব্রেটি, করোনার হাত থেকে রক্ষ পাচ্ছেন না কেউই। এমনকী করোনা ভ্যাকসিনের(Corona vaccine) জোড়া ডোজ নেওয়া থাকলেও বহু ক্ষেত্রে মিলছে না রেহাই। এদিকে আক্রান্ত হওয়ার পর রোগীদের সেবায় একাধিক নিত্যনতুন পন্থা আবিষ্কার করছে বিজ্ঞানীরা। সব যে সর্বদা কার্যকর হচ্ছে এমনটা নয়। তার প্রধান কারণ অবশ্যই করোনার নিত্যনতুন ভ্যারিয়েন্ট(New variants of Corona) ও তাদের নিত্যনতুন প্রতিক্রিয়া। এদিকে করোনা ঠেকাতে দীর্ঘদিন থেকেই ককটেল থেরাপি নিয়ে চলে। বৈজ্ঞানিক ভাষায় এর নাম মনোক্লনাল অ্যান্টিবডি ককটেল থেরাপি(Monoclonal antibody cocktail therapy)।

করোনা প্রাদুর্ভাবের শুরুতে যখন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মারণ ভাইরাসের কবলে পড়েছিলেন, তখন তাঁকে দেওয়া হয়েছিল এই থেরাপি। অন্যদিকে সম্প্রতি  বিসিসিআই সভাপতি তথা প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় করোনা আক্রান্ত হলে তাঁকেও এই মনোক্লনাল অ্যান্টিবডি ককটেল থেরাপি দেওয়া হয়। বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে এই থেরাপি চেয়ে ভিড় বাড়ছে। অনেকেই দাবি করছেন এই থেরাপি প্রয়োগে মাত্র ৬ ঘণ্টাতেই করোনা পজেটিভ থেকে নেগেটিভ হওয়া সম্ভব। যদিও এই থেরাপি নিয়ে দোটানা রয়েছে ডাক্তারদের মধ্যেই। কারণ এই থেরাপি প্রয়োগে যে বিশাল কোনও কার্যকরী ফল মিলেছে তা এখনও বলা যায় না। কোভিড চিকিৎসার প্রোটোকল নির্ধারণকারী সংস্থা আইসিএমআর এখনও এই থেরাপিকে তালিকাভুক্ত করেনি। তা নিয়েও রয়েছে উদ্বেগ।

আরও পড়ুন- কোভিড কোপে বাতিল একাধিক লোকাল, ভোরের ট্রেনের দাবিতে বিশাল অবরোধ ঠাকুরনগরে

এদিকে এর আগে ১ জানুয়ারি মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি থেরাপিকে (ককটেল থেরাপি) তালিকায় রেখেই রাজ্যে করোনা সংক্রান্ত চিকিৎসা বিধি প্রকাশ করে রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর। যদিও তা নিয়েও বাড়তে থাকে উদ্বেগ। এমনকী এখনও কেন্দ্রের তরপে এই থেরাপি নিয়ে সুস্পষ্ট ভাবে কিছু বলা হয়নি। এমতাবস্থায় এবার রাজ্যের নির্দেশিত চিকিৎসাবিধি থেকে এই দুই ওষুধকে বাদ রেখেছে স্বাস্থ্য দফতর। জারি হয়েছে নতুন নির্দেশিকা। এদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ককটেল আদপে আদপে একটি অ্যান্টিবডির মিশ্রণ। যা ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনের বিরুদ্ধে কাজ করে। ফলে রোগীর শরীরে ভাইরাসের প্রভাব কমে যায়। যদিও এর পক্ষে বিপক্ষেও রয়েছে নানা মতামত। এমনকী এর কার্যকারিত নিয়ে আগামীতে আরও বিস্তর পরীক্ষা-নীরিক্ষার প্রয়োজন রয়েছে বলেও মত বিশেষজ্ঞ মহলের একটা বড় অংশের।

PREV
click me!

Recommended Stories

Look Back 2025: স্বাস্থ্য সম্পর্কে ভারতীয়রা ২০২৫ সালে সবচেয়ে বেশি যে প্রশ্নগুলি সার্চ করেছে
ডিনারে অবশ্যই কম ক্যালোরিযুক্ত খাবারই খাওয়া উচিত?