সাধারণ ও স্থানীয় কাশ্মীরিদের সহযোগিতা, টেকনিক্যাল ইন্টেলিজেন্স, ফোকাসড অপারেশনের জন্য ভারতীয় সেনার হাতে ক্রমশই খতম হওয়ার সংখ্যা বাড়ছে জঙ্গিদের।
চলতি বছরে অর্থাৎ ২০২২ সালে সেনার হাতে নিকেশ হয়েছে ৬২ জন জঙ্গি। জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ বৃহস্পতিবার জানিয়েছে যে এই বছর এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু কাশ্মীরে মোট ৬২ জন জঙ্গিকে খতম করা গিয়েছে। এই সমস্ত জঙ্গি নিরাপত্তা বাহিনীর এনকাউন্টারের সামনে খতম হয়েছে। কাশ্মীর পুলিশের ইন্সপেক্টর-জেনারেল বিজয় কুমার বলেছেন, এই ৬২ জন জঙ্গির মধ্যে ৩৯জন লস্কর-ই-তৈবার, ১৫ জন জইশ-ই-মহম্মদের, ৬জন হিজবুল মুজাহিদিনের এবং দুজন আল-বদরের।
আইজিপি বিজয় কুমার আরও বলেন, খতম হয়েছে যেসব জঙ্গি, তাদের মধ্যে ৪৭ জন স্থানীয় জঙ্গি ও ১৫ জন বহিরাগত। সাধারণ ও স্থানীয় কাশ্মীরিদের সহযোগিতা, টেকনিক্যাল ইন্টেলিজেন্স, ফোকাসড অপারেশনের জন্য ভারতীয় সেনার হাতে ক্রমশই খতম হওয়ার সংখ্যা বাড়ছে জঙ্গিদের। চলতি বছরে এ পর্যন্ত নিহত ৬২ সন্ত্রাসীর মধ্যে, ৩২ জন নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনে যোগ দেওয়ার মাত্র তিন মাসের মধ্যে খতম হয়েছে। উল্লেখ্য, পুলওয়ামার মিত্রিগাম এলাকায় এনকাউন্টারে দুই জঙ্গি নিহত হওয়ার পর এই তথ্য জানান আইজিপি কাশ্মীর।
চলতি বছরের মার্চ ও এপ্রিল মাসে অ-কাশ্মীরি শ্রমিকদের ওপর হামলা চালানোর ঘটনায় যুক্ত ছিল এই দুই জঙ্গি বলে বিজয় কুমার জানিয়েছেন। জঙ্গি দুজনের নাম আইজাজ হাফিজ ও শাহিদ আইয়ুব। দুজনেই স্থানীয় এবং আলবদর জঙ্গি সংগঠনের সদস্য।
এক টুইটে আইজিপি জানান, "দুজন নিহত সন্ত্রাসীকে স্থানীয় জঙ্গি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, যার নাম আল-বদর সংগঠনের আইজাজ হাফিজ এবং শহিদ আইয়ুব। 02 AK রাইফেল উদ্ধার করা হয়েছে। তারা ২০২২ সালের মার্চ-এপ্রিল মাসে পুলওয়ামায় বাইরের শ্রমিকদের উপর ধারাবাহিক হামলার সাথে জড়িত ছিল।"
জম্মু ও কাশ্মীরে সক্রিয় পাকিস্তান-ভিত্তিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলির মধ্যে রয়েছে এলইটি, জেএম এবং হিজবুল মুজাহিদিন। গত কয়েক বছরে, বিশেষ করে ৩৭০ ধারা বাতিল করার পরে, নিরাপত্তা বাহিনী উপত্যকায় সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান জোরদার করেছে এবং এই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলির বেশিরভাগ শীর্ষ নেতৃত্বকে খতম করা সম্ভব হয়েছে, যা দেশের জন্য ব্যাপক সাফল্য বলেই মনে করছে নিরাপত্তা বাহিনী।
জম্মু কাশ্মীরে জঙ্গি হামলার সংখ্যা ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে কিন্তু এমন কিছু ঘটনা রয়েছে যখন নিরাপত্তা মোতায়েন থাকা সত্ত্বেও জঙ্গিরা হামলা চালাতে সক্ষম হয়। সেই ফাঁকগুলো খতিয়ে দেখছে সেনা ও পুলিশের যৌথ বাহিনী।
আরও পড়ুন- 'দুর্নীতিতে নাম জড়ালে কাউকেই ছাড়া হবে না', কড়া বার্তা মমতার
আরও পড়ুন- কংগ্রেসের হাত ধরছেন না ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর, একমাস ধরে চলা জল্পনার অবসান