From The India Gate: মমতার তৃতীয় জোটের অপেক্ষায় রাজনৈতিক মহল, দ্বিধায় কর্ণাটকের বিজেপি ভোটাররা

গত এক সপ্তাহ ধরে ভারতের রাজনীতিতে একাধিক উত্থান পতন হয়েছে। সামনে এসেছে অনেক ঘটনা। দেখুন কী রয়েছে তার অন্দর মহলে।

 

Web Desk - ANB | Published : Mar 19, 2023 10:16 AM IST

আত্মার আত্মকথাঃ

শক্তিসৌধে অফিশিয়াল ফাইল নাড়াচাড়া ক্রমশই অস্পষ্ট বলে মনে হচ্ছে। অফিসিয়ার যন্ত্রপাতি ধূর হয়ে যাওয়ায় অনেক প্রকল্পই গতি হারিয়ে ফেলেছে। এর কারণ কী - তার উত্তর না দিয়ে কিছু মানুষ মহাজাগতিক সম্ভবনার জন্য কারণ খোঁজার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা এই বিলম্বের কারণ হচ্ছে।

বিধান সৌধের কাছে এই ব্যক্তি জ্যোতিষীর কাছে গিয়েছিলেন। সেই জ্যোতিষী যা বলে ছিল তার ব্যাখ্যা তাদের হতবাক করেছিল। 'সম্ভব্য হতাশাগ্রস্ত আত্মা ফাইলগুলিতে বসে আছে যা তাদের দ্রুত প্রক্রিয়াকরণে বাধা দিচ্ছে।'

তবে জ্যোতিষীর এই কথা অর্থ কী তা নিয়ে শুরু হয়ে গেল নতুন জল্পনা। অকেনেই পার্স খুললেন সেখান থেকে ঝপঝপ করে নোট বৃষ্টি হল। সেই সময়ই জ্যোতিষী বিড়বিড় করে বললেন 'এই রহস্যের সমাধানের জন্য অন্য কিছু না বুঝলেও চলবে। শুধুমাত্র জেডিএস বিধায়াক সারা মহেশ কী বলেছিলেন তা একবার মনকরলেই হবে। '

মহেশ ১৫তম কর্নাটক বিধানসভার শেষ অধিবেশনে তার ভাষণে রাজনীতিবিদদদের অতৃত্প আত্মার কথা উল্লেখ করেছিলেন, যারা তাদের উচ্চাকাঙ্খা পুরণের জন্য ব্যার্থ হয়েছে- তারা কখনই গণতন্ত্রের মন্দির ছেড়ে যেতে চায় না। একজন প্রথমে গ্রাম পঞ্চায়েত, সেখান থেকে জেলা পরিষদ, তারপর বিধায়ক হতে চান। তাদের মনের কোনা মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার ইচ্ছে থাকে। নিদিন পক্ষে মন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখেন অনেকে। এই জাতীয় অতৃপ্ত আত্মারা বিধানসৌধে স্বাধীনভাবেই ঘুরে বেড়ায়।

ওষুধ বড়ই তিতো

রাজস্থানের ইতিহাসে সবথেকে বড় ঘুষ মামলায় ১১৫০০ পৃষ্ঠার চার্জশিট পেশ করা হয়েছে। এতে একজন বরখাস্ত RPS অফিসারের নাম রয়েছে। যার বিরুদ্ধে হরিদ্বারের একজন মেডক্যাল ডিলারকে একটি জাল অভিযোগ ছেকে মুক্তির জন্য ২ কোটি টাকা ঘুষের দাবি করা হয়েছিল। অফিসার দিত্যা মিত্তালকে হাতেনাতে ধরার পরে গ্রেফতার করা হয়। তিনি সেইসময় মিডিয়াকে বলেন তিনি ওপর ওয়ালার জন্যই সবকিছু করেছেন। এরপর দিব্যা মিত্তালের কোনও বক্তব্যই আর প্রকাশ্য়ে আসেনি। কৌতূহলীর প্রশ্ন- ওপরওয়ালার কি হয়েছিল? যাদের সম্পর্কে দিব্যা মন্তব্য করেছিলেন কিন্তু চার্জশিটে তাদের বিরুদ্ধে কোনও কথা নেই কেন?

তবে গ্রেফতারের পরেই দিব্যাকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। তার একটি রিসর্টও ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দুই সিনিয়ার অফিসার যাদের বিরুদ্ধে দিব্যা অভিযোগের আঙুল তুলেছিলেন তাদের কেই স্পর্শ করার সাহস পর্যন্ত পায়নি। দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্তরা চিরকালই পর্দার আড়ালে থেকে যাবে!

মাফিয়া জগতের একটি নতুন সংজ্ঞা - সেল (ক্যাডারদের জন্য) সেল থেকে (জেল) ও সেলের মাধ্যমে (ফোন)আন্ডারওয়ার্ল্ডের গতিতে এই গ্রাফিতিটি আবারও লেখা হবে যখন উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজে রাজু পাল হত্যার অপরাধীরা যখন পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করবে। এতক্ষণ স্পষ্ট হয়ে গেছে যে এই ক্ষেত্রে কোনও শক্তিশালী পুলিশি পদক্ষেপ ঘটবে না যদিও মুখ্যমন্ত্রী নিজেই হত্যাকাণ্ডের পিছনে একজন ডনের দুই ছেলেকে শিকার বলে আতসকাচের তলায় রেখেছে।

রাজু পাল হত্যার পরে দুই আসামীকে এনকাউন্টার করা হয়েছে। কিন্তু জুনিয়ার বসরা শীঘ্রই আত্মসমর্পণ করবে, কিছু জেলে রাখা হবে যেখান থেকে তারা তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাবে সম্ভবত একটি জিনের মাধ্যমে চলে কারণ তাদের বাবাও সাম্রাজ্যার স্ট্রিং টানার জন্য কুখ্যাত ছিলেন। এমনকি যখন তিনি জেলে ছিলেন।

দুর্গন্ধ সমৃদ্ধ

ইন্ডিয়া গেট গত সপ্তাহে স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতির নোংরা পথ বর্ণনা করেছে যার ফলে কেলরার বাণিজ্যিক রাজধানী কোচি ধুমপান হয়েছে। বিষাক্ত ধোঁয়া ধীরে ধীরে পরিষ্কার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্রহ্মপুরম আবর্জনার স্তূপের পিছনে আরও প্রতারণার গল্প স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। যারা দ্রুত টাকার জন্য আবর্জনার ক্যানে হাত ডুবিয়েছেন তাদের মধ্যে আমলা ও রাজনীতিবিদও রয়েছে।

 

আকর্ষনীয় পর্শ্ন হল কেরলা স্টেট ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন এর ভূমিকা বরং সন্দেহজনক উপস্থিতি এমনকি যদিও জোন্টা, ব্রহ্মপুরম চালানোর জন্য চুক্তিবদ্ধ কোম্পানি, ক্রমাহত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কেএসআইডিসিই জোন্টাকে চুক্তি দিয়েছিল যদিও কোচিন কর্পোরেশন কোম্পানিকে বহু কোটি টাকা অগ্রিম সহ সমস্ত অর্থ প্রদান করছে।

এটি এখন প্রকাশ করা হচ্ছে যে নোডাল সংস্থা KSIDC দ্বারা Zonta Infratech কে বর্জ্য থেকে শক্তি তৈরির আরেকটি প্রকল্প দেওয়া হয়েছিল। কেএসআইডিসি ব্রহ্মপুরমে 20 একর জমি লিজ নিয়েছে এবং আরও তহবিল সংগ্রহের জন্য এটি বন্ধক রাখার সম্পূর্ণ আইনি অধিকার সহ জোন্টার কাছে হস্তান্তর করেছে। কেরালা এই সমস্ত চুক্তি থেকে আরও দুর্গন্ধের জন্য অপেক্ষা করছে কারণ রাজ্য সরকারের নির্দেশিত তদন্তের অগ্রগতি হচ্ছে।

তৃতীয় ফ্রন্টে মমতা

যে কোনও নির্বাচনী মৌসুমের প্রাক্কালে দেশে পরিত্যাক্ত রাজনৈতিক বুনন নিয়ে তৃতীয় ফ্রন্টকে একত্রিত করার প্রচেষ্টা দেখা যায়। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমো অখিলেশ য়াদবের সাম্প্রতিক বৈঠক এই জল্পনাকে আরও একবার উস্কে দিয়েছে। তবে তৃণমূল এখনও স্বাকার করেনি যে তৃতীয় ফ্রন্টের সম্ভাবনা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা করা হয়েছে। কারণ দলটি কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে সমদূরত্ব নীতি বজায় রাখতে চায়। রাজনৈতিক গ্যালারি অধীর আগ্রহে গোটা বিষয়ি দেখার জন্য অপেক্ষায় রয়েছে ২০২১ ও ২০২২ সালের নির্বাচনে মত টিএমসি আর এসপি হাত মেলাবে কিনা দেখার জন্য।

ভোটারই অবতার

কর্নাটকে বিজেপির ভোটারদের চারটি দল রয়েছে- যারা হিন্দুত্বের পক্ষে সম্পূর্ণ ভোট দেয়। যারা প্রার্থী ও কাজ দেখে ভোট দেয়, যারা জাত দেখে ভোট দেয়। আরও একটি দল যারা শুধুমাত্র নরেন্দ্র মোদীর ইমেজ দেখেই ভোট দেয়।

অবশ্যি এই টেকটোনিক প্লেটের মধ্যে ফাটল রয়েছে। উদাহরণ স্বরূপ মোদী ভক্তরা বিধায়ক মাদালু বিরুপাক্ষপ্পার বিরুদ্ধে শান্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে দ্বিধা করায় দলের ওপর অসন্তুষ্ট ছিলেন। যিনি সদর লিঙ্গায়তদের প্রতিক্রিয়ার ভয়ে ঘুষের মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন। ম্যাঙ্গালুরুতে প্রবীণ নেত্তারুর হত্যাকাণ্ডের পর, কর্মী এবং হিন্দুত্ববাদী ভোটাররা বিজেপির সাথে আরও যুক্ত হয়েছে। তারা রাজনৈতিক যন্ত্রের চেয়ে অন্যান্য সংঘ সংগঠনের অংশ।

কিন্তু বিজেপি এটাও বুঝতে পারছে যে তাদের সেরা বাজি হল নতুন প্রজন্মের ভোটারদের ক্রমবর্ধমান সংখ্যা যারা মোদীর নেতৃত্বে ভবিষ্যত দেখে। তাদের আত্মসম্মান পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। বিশ্ব মানচিত্রে ভারতের স্থান আরও স্পষ্ট হয়েছে। রাজ্য নেতৃত্বের জন্য চ্যালেঞ্জ হল এই ধরনের প্রশাসনিক দক্ষতা ক্লোন করা যাতে ভোটারদের এই গোষ্ঠী শুধুমাত্র লোকসভা নির্বাচনে ভোট দেওয়ার সিদ্ধান্ত না নেয়।

কিন্তু যে নতুন ভোটাররা মোদীর ছবি দেখে বিজেপিকে ভোট দেন তারা প্রতি ৫ বছর পর পর ভোট কেন্দ্রে আসেন কোনো কিছুর আশা ছাড়াই। এই ভোটাররা যদি ভোটের দিন ঘরে বসে বলে "লোকসভা নির্বাচনের সময় দেখা যাক" এইবার রাজ্য বিজেপির পক্ষে এটি কঠিন।

আরও পড়ুনঃ

অনবরত কাশি হচ্ছে? রইল কফ বা শ্লেষ্মার সমস্যা থেকে মুক্তির সহজ প্রতিকার

'বাংলাদেশকে জ্বালানি নিরাপত্তা দিচ্ছে ভারত', পাইপলাইন উদ্বোধনের পর বললেন শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী মোদীর বিরুদ্ধে বিশেষাধিকার ভঙ্গের নোটিশ কংগ্রেসের, নেহেরুর পদবী মন্তব্যের জের

Share this article
click me!