Kangana Row: 'নেতাজি-গান্ধীজি সম্পর্ক ছিল কঠিন', কঙ্গনা বিতর্ক নিয়ে কী বললেন সুভাষ বসুর কন্যা


নেতাজি-মহাত্মা গান্ধী (Netaji Subhas Bose and Mahatma Gandhi) সম্পর্ক নিয়ে মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়ে রড়েছেন কঙ্গনা রানাউত (Kangana Ranaut)। কেমন সম্পর্ক ছিল তাঁদের, কী জানালেন নেতাজি-কন্যা অনিতা বোস ফাফ (Anita Bose Pfaff)?

Contributor Asianet | Published : Nov 17, 2021 6:44 AM IST / Updated: Nov 17 2021, 12:29 PM IST

নেতাজিকে (Netaji Subhas Bose) ব্রিটিশদের হাতে তুলে দিতে প্রস্তুত ছিলেন মহাত্মা গান্ধী (Mahatma Gandhi) এবং জওহরলাল নেহেরু (Jawaharlal Nehru)। গোটা ভারতে হইচই ফেলে দিয়েছে বলিউড নায়িকা কঙ্গনা রানাউতের (Kangana Ranaut) বিতর্কিত এই মন্তব্য। সত্যিই কি এতটা অহি-নকুল সম্পর্ক ছিল ভারতের স্বাধীনতার দুই মহান নেতা - গান্ধীজি এবং সুভাষ বসুর মধ্য়ে? বুধবার , ইন্ডিয়া টুডে টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে নেতাজি-কন্যা অনিতা বোস ফাফ (Anita Bose Pfaff), জানিয়েছেন তাঁর বাবা এবং মহাত্মা গান্ধীর মধ্যে সম্পর্কটা ছিল বড় কঠিন। কারণ,   একদিকে গান্ধী মনে করতেন, নেতাজিকে তিনি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না। অন্যদিকে, নেতাজি আবার ছিলেন গান্ধীর মহান ভক্ত। 

নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর কন্যা আরও বলেন, নেতাজি এবং গান্ধী, দুজনেই ভারতের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করা দুই মহান বীর ছিলেন। তবে তাঁর মতে দুজনে একরকম না হলেও, একে অপরের পরিপূরক ছিলেন। একজন না থাকলে, আরেকজন কিছু করতে পারতেন না। শুধুমাত্র অহিংস নীতিই জোরেই ভারতের স্বাধীনতা এসেছে, একাংশের কংগ্রেস সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে যেমনটা দাবি করে থাকেন, সেটা ঠিক নয় বলেও জানান অনিতা। তিনি বলেন, সকলেই জানেন নেতাজি এবং আইএনএ-এর পদক্ষেপগুলিরও ভারতের স্বাধীনতা প্রাপ্তিতে অবদান ছিল। আবার, শুধুমাত্র নেতাজি এবং আইএনএ ভারতের স্বাধীনতা এনেছিল, এটা দাবি করারও তাঁর মতে অযৌক্তিক। কারণ, গান্ধী খোদ নেতাজি সহ বহু মানুষকে স্বাধীনতার লড়াইয়ে অনুপ্রাণিত করেছিলেন। নেতাজি কন্যার মতে, আসলে লক্ষ লক্ষ মানুষের অবদান রয়েছে ভারতের স্বাধীনতায়। কোনও একজন বা দুজনের বিষয় নয়। 

আরও পড়ুন - Kangana Ranaut- 'হয় গান্ধীজি নয় নেতাজি' জওহরলাল নেহেরুরু পর এবার গান্ধীজিকে নিশানা কঙ্গনার

আরওও পড়ুন - Hiroshima Day - নেতাজিকে হত্যা করতেই কি পরমাণু বোমা ফেলেছিল আমেরিকা, রহস্য গুমনামি বাবার লেখায়

আরও পড়ুন - Hiroshima Day - নেতাজি আজও 'যুদ্ধাপরাধী', পরমাণু বোমা ফেলেও আমেরিকা কেন সাধু হবে

ঘটনার সূত্রপাত গত সপ্তাহে। রঙ্গনা ভারতের স্বাধীনতাকে 'ভিখ' বা ভিক্ষা বলে দাবি করেন। ঘোষণা করেন স্বাধীনতা এসেছে ২০১৪ সালে, নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর। মঙ্গলবার তিনি তাঁর ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে দাবি করেন, সুভাষ চন্দ্র বসু এবং ভগৎ সিং, মহাত্মা গান্ধীর কাছ থেকে কোনও সমর্থন পাননি। গান্ধীর অহিংসার মন্ত্রকে উপহাস করে তিনি বলেন, অন্য গাল বাড়িয়ে দিলে আপনি ভিক্ষা পাবৈন, স্বাধীনতা নয়। 

তারপর আবার বলি অভিনেত্রী ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে একটি পুরানো সংবাদপত্রের নিবন্ধ শেয়ার করেছেন। সঙ্গে লেখা, 'হয় আপনি গান্ধী ভক্ত অথবা নেতাজি সমর্থক। আপনি দুটো একসঙ্গে হতে পারবেন না, বেছে নিন এবং সিদ্ধান্ত নিন।' সঙ্গের সংবাদপত্রের কাটিংটি ১৯৪০ সালের একটি নিবন্ধ। তার শিরোনাম হল, 'গান্ধী, অন্যান্যরা নেতাজিকে হস্তান্তর করতে রাজি হয়েছেন।'

Read more Articles on
Share this article
click me!